সংবর্ধিত হলেন ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪ গুনী
---
আমিরজাদা চৌধুরী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার গুনীজন সংবর্ধিত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আর এ কে সিরামিকস ২৫ তম বার্ষিক চিত্রকলা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক উৎসবে গুনী ব্যাক্তিদের এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধিতরা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান এডভোকেট,বিশিষ্ট সাংবাদিক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ আখতার ইউসুফ সানু,চ্যানেল-২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো প্রধান রিয়াজ উদ্দিন জামি ও দৈনিক মানবজমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া .কম এর সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। ৪ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী দিবসে শনিবার সংবর্ধিতদের হাতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড: মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সভাপতি মাসুকুল ইসলাম মাসুকের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু ও ইঞ্জিনিয়ার ফারজানা বিনতে খান খেয়ার পরিচালনায় এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিভির সাবেক পরিচালক (ডিজাইন) চিত্রশিল্পী আব্দুল মান্নান, ভাষা সৈনিক মুহম্মদ মুসা, আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি মোঃ এনামুল হক ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক সমতট বার্তা সম্পাদক নাট্যজন মনজুরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশুনাট্যমের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী দীপ্ত মোদক। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার শিশুদের জন্য নানা কর্মসূচী নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭৪ সালে শিশু আইন তৈরী করেন। সর্ব শেষ ২০১১ সালে নতুন ভাবে জাতীয় শিশু আইন তৈরী করা হয়। যাতে প্রত্যেক কাজের মধ্যে শিশুকে বিবেচনায় আনা হয়। সরকারের যত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হবে তাতে শিশুদের প্রাধান্য দেয়া হবে। আমরা শিশুদের যদি সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারি তারাই হবে ভবিষ্যৎ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত আয়ের দেশ হতে চায়। এর হাতিয়ার হবে আজকের শিশুরা। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী করে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পারলে তাহলেই আমরা সুখি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারব। সবাই মিলে একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে পৌছতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। এ বছর উৎসব শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তূর্য রায় মনন। এছাড়া ক বিভাগে শ্রেষ্ঠ জারিয়া আফরোজ, খ বিভাগে সুদীপ সাহা রুদ্র এবং গ বিভাগে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন সায়ন্ত পাল। সবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সংগীত বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা গান নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ৪ দিন ব্যাপী এ উৎসব শুরু হয় ৪ ঠা মে। শিশুনাট্যমের প্রায় তিন শতাধিক শিশুর আঁকা এক হাজারেরও বেশি ছবি প্রদর্শিত হয় এ উৎসবে।