সোমবার, ৪ঠা জুন, ২০১৮ ইং ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

খেজুর দিয়ে ইফতারে বরকত

আরও : মুস্তাফিজকে সামলাতেই ওয়ালশের বিপত্তি!

ইসলামিক ডেস্ক সাধারণত রোজা ভাঙার কাজকে ইফতার এবং যে খাবার খাওয়া হয় তাকে ইফতারি বলে। রাসুল (স) হাদিসে কুদসিতে বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমার কাছে সেই ব্যক্তি অতিপ্রিয়, যে তাড়াতাড়ি ইফতার করে। (তিরমিযী)
রমযান মাসে ইফতার ও সেহরিতে মুখরোচক অনেক খাবার বাসায় তৈরি হয়, তেমনি বাজারে নানা রকমারী খাবার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আর এসব খেয়ে আমাদের শুরু হয় পেটজ্বালা, বমি ও পাতলা পায়খানা। পরে দেখা যায়, পরদিন অনেকে রোজা রাখতে পারেন না। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে, এসব ভাজাপোড়া খাবার রোজাদারের জন্য মোটেই উপযোগী নয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাসুল (সা) বলেন, তোমরা খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কেননা তাতে বরকত রয়েছে। যদি খেজুর না থাকে, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করো। পানি পাক ও পবিত্র।
আমাদের উচিত খেজুরসহ ইফতারি হিসেবে ঠাণ্ডা পানীয়, ডাবের পানি, দেশি ফলমূল যেমন- পেঁপে, শসা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া- প্রভৃতি উপাদেয় খাদ্য দিয়ে ইফতার করা। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইফতার মানে পরিমিত নাশতা বা হালকা খাবার। ইফতারিতে ঝাল খাবার যদি না খেলেই নয়, তাহলে কম ঝাল দিয়ে তৈরি বুটভুনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মুড়ি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাজাপোড়া না খেয়ে ভাত, ভাজি, গোশত দিয়েও ইফতার করা হয়। শহরে অনেকে ইফতার করার পর সন্ধ্যারাতে ভাত, আটার রুটি, মাছ বা গোশত, ডাল ও সবজি খেয়ে থাকেন, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইফতারিতে পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণ পানি, যাতে দেহ পানিশূন্য হয়ে না পড়ে। অল্প ইফতার গ্রহণ করায় লালা নিঃসরণকারী গ্লান্ড চাঙা হয় এবং পরবর্তী খাবার গ্রহণের জন্য শরীর প্রস্তুত হয় বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

নবীজি যেভাবে রোজা রাখতেন

তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় যায় বহিয়া

তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময় যায় বহিয়া

আমাদের রোজা কি পূর্ণতা পাচ্ছে

ইসলামে জাকাতের বিধান

রোজা অবস্থায় কি তরকারির স্বাদ পরীক্ষা করা যায়?