সোমবার, ৩রা জুলাই, ২০১৭ ইং ১৯শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কালীসীমা গ্রামে অন্যের দোকান ভিটে দখল

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৬, ২০১৫

---

B.Baria Pic-3আমিরজাদা চৌধুরী : ১৪৪ ধারা জারী থাকার পরও নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের কালীসীমা গ্রামের একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সোমবার সকাল ১০ টায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে জায়গাটি দখল করার জন্যে সেখানে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয় তাদের অনুগত কয়েক’শ লোক। তারা কালীসীমা বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে মো: ইদ্রিস মিয়ার ৩ শতক দোকান ভিটে দখল করতে সেখানে থাকা পাকা স্থাপনার অবশিষ্ট অংশ প্রথমে ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এরপর সেখানে ভূমিদস্যুরা আবার নতুন করে দেয়াল নির্মান করার কাজ শুরু করে। জায়গাটি দখল করার সময় ইদ্রস মিয়ার বাড়ির মেয়ে ছেলেদের মারধোর করা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় মোবাইল। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে জানান ইদ্রিস মিয়া। তিনি তার অভিযোগে জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এবং এই জায়গার ওপর ১৪৪ ধারা জারী রয়েছে বলে জানান। এরপরই পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু তারপরও দখল বাজরা নিবৃত্ত হয়নি। এরআগে দোকান ভিটির ঐ জায়গাটি দখল করার জন্যে গ্রামের ভূমিদস্যুরা ঐ স্থানে থাকা পাকা কয়েকটি পাকা দোকান ঘর গুড়িয়ে ফেলে। গতকাল ইতিপূর্বে ভেঙ্গে ফেলা এ দোকান কোঠার বাকী অংশ ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করা হয়। ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে জমিলা জানান- জায়গাটি দখলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল আমিন,হোসেন চেয়ারম্যান,আরজু মেম্বার,মোশাররফ। এরা দিনভর সেখানে চেয়ার নিয়ে বসে থেকে রনসাজে আসা  ভূমিদস্যু দলকে জায়গাটি দখল করার নির্দেশ দেয়। এসময় ইদ্রিস মিয়ার দুই পুত্রবধু শিউলি বেগম (৩০) ও মমতাজ (৩৫) কে মারধোর করে। শিউলির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম বলেন এটি গ্রামের জায়গা । তাই দখল করছেন। কিন্তু ইদ্রিস মিয়া জানান-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কালিসীমা গ্রামে নবীনগর-গোকর্ণঘাট সড়কের পাশে তার  নিজ বাড়ির সামনের অংশে ৩ শতক জায়গায় ১৯৯৬ সালে ১০ টি দোকান কোঠা  নির্মান করেছিলেন । কয়েক বছর আগে এই দোকান কোঠাগুলো গুড়িয়ে দেয় গ্রামের প্রভাবশালীরা। এরপর থেকেই গ্রামের মসজিদ-মাদ্রাসা,কলেজের নাম করে জায়গা দখল করে নতুন করে মার্কেট করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা । ঐ মার্কেটের দোকান কোঠাও ভাগাভাগি করে ফেলে নিজেদের মধ্যে। তারা থানা পুলিশ,আইন-আদালত সব ম্যানেজ করে এই জায়গাটি দখল করবে বলে ঘোষনা দেয় আগেই। প্রাননাশের হুমকীও দেয়া হয় ইদ্রিস মিয়ার পরিবারের লোকজনকে। ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া মেম্বার ও মেয়ে জামিলা থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার মামলা করা হয়। শালগাও মৌজার ৬৯ দাগের পাশে ৫১০ দাগে এই জায়গার অবস্থান। বিএস খতিয়ান নং ৪৫২ তে  শালগাও মৌজার ৫১০ নম্বর দাগে ২ শতক জায়গার মালিক হিসেবে ইদ্রিস মিয়া গং এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীরা জায়গাটি গ্রামবাসীর বলে দাবী করে দখলে তৎপর হয়। এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন অভিযোগ পেয়ে এএসআই  আলমগীরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। সে জায়গা দখল বন্ধ করে দিয়ে এসেছে।

 

এ জাতীয় আরও খবর