রাতের মধ্যে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনা নেই : এখনও চলছে উদ্ধার কাজ
---
আমিরজাদা চৌধুরী : ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচংয়ে দুর্ঘটনা কবলিত আন্ত:নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগির মধ্যে চারটি বগি লাইন থেকে সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। বাকি দুটি বগি সরানোর কাজ চলছে। তবে এতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে বগি উদ্ধার হলেও আপ লাইনে অর্থাৎ দুর্ঘটনা কবলিত লাইন দিয়ে আজ রাতে ট্রেন চলাচলের কোন সম্ভাবনা নেই। লাইনটির অন্তত তিন’শ ফুট অংশের রেলপাত ও স্লিপার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বগিগুলো পাশের ডাউন লাইনে কাত হয়ে পড়ায় ওই লাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা জানান, এই লাইনটি দিয়ে রাতের মধ্যে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা হতে পারে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, আগে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে দুপুর সোয়া দুইটার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশনসহ আশপাশের ষ্টেশনে আটটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সুরমা মেইল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, চট্্রগ্রামগামী চট্টলা ও মহানগর প্রভাতি ভৈরব জংশন স্টেশনে, নোয়াখালিগামী উপকূল এক্সপ্রেস নরসিংদী স্টেশনে, ঢাকাগামি চট্টলা ও কর্ণফুলী ট্রেন আখাউড়ায় এবং ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি ট্রেন কুমিল্লা ষ্টেশনে আটকা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর দুইটা ১০ মিনিটে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয় বগি পাঘাচং রেলষ্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়।