g ঋতু সমস্যার সমাধান | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ১৭ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২রা ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঋতু সমস্যার সমাধান

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ২৩, ২০১৪

---

sex-5মেডিকেল প্রতিবেদক :

ঋতু সমস্যা নারী জীবনের বড় একটি সমস্যা। অনেক নারী সারা জীবন এ সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু লজ্জায় বা অন্য কোনো কারণে তা প্রকাশ করেন না, বয়ে বেড়ান বিষফোঁড়ার মতো।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে কিশোরীরা দুশ্চিন্তায় ভোগে। আমাদের দেশের কিশোরীরা বিষয়টি নিয়ে মা বাবা বা কাছের সঙ্গে আলোচনা করতে লজ্জা বোধ করে। সামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণেই মূলত এ লজ্জা। আর সে লজ্জা থেকেই তৈরি হয় বড় ধরণের অসুস্থতা।  


নিয়মিত ঋতুচক্র প্রতিমাসে দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী থাকে। বেশিরভাগ নারী প্রতিমাসের ২৮ তারিখের সাতদিন পূর্বে অথবা সাতদিন পরে ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হয়। প্রতি ঋতুস্রাবে গড় রক্তক্ষরণের মাত্রা ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম। এর অধিক রক্তক্ষরণ হলে সেটাকে অনিয়ন্ত্রিত ঋতুস্রাব হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।


ভারতের রকল্যান্ড হাসপাতালের কনসালটেন্ট এবং গাইনোকোলোজিস্ট ড. মধু গোয়েল অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কয়েকটি কারণ সনাক্ত করেছেন।


১. গর্ভধারণজনিত অনিয়মিত ঋতুস্রাব। ঋতুস্রাব সমস্যা শুরু হলে প্রথমে গর্ভধারণ টেস্ট (প্রেগনেন্সি টেস্ট) করা দরকার। নির্ধারিত সময়ের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে গর্ভপাতের আশংকা বা ইকটোপিক (জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ) গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি টেস্ট বা গর্ভধারণ পরীক্ষা জরুরি।


২. গর্ভনিরোধ বড়ি খাওয়ার ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।


৩. সন্তান জন্মদানের সময় ইনজেকশন গ্রহণ করলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।

৪. শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থাইরোয়েড রোগ এবং পলিস্টিক ওভারিয়ান রোগের সম্ভাবনা বাড়ায়। আবার শারীরিক ওজন কমে গেলে তা ক্যান্সার, টিউবারকোলোসিস রোগ বাড়াতে পারে। এছাড়া শারীরিক ওজনের এই তারতাম্য থাইরোয়েড, অনিয়মিত ঋতু চক্র এবং ঘুমের মাত্রা বাড়ায়। তখন হরমোনজনিত এই রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।


৫. আবেগীয় মানসিক চাপের (পরীক্ষা সক্রান্ত, বৈবাহিক সমস্যা, নিকট আত্বীয় হারানো) প্রভৃতির ফলেও অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।


অনিয়মিত ঋতুস্রাব বন্ধে যা করা উচিত


১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং নিজেকে ঠাণ্ডা রাখুন।


২. বিবাহিতরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বন্ধ করবেন না। কেননা এই সময়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকেই যায়। যদি আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি নিয়মিত গ্রহণ করেন। সেক্ষেত্রে এটা আপনার ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরও চালিয়ে যেতে হবে।


৩. শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন। নিয়মিত শরীর চর্চা, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করুন।


৪. প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে (ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট) এরকম ওষুধ সেবন করুন।

 

এ জাতীয় আরও খবর