জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকায় বিশ্ব রেকর্ডের পথে বাংলাদেশ
---
একদিনেই মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই প্রতিবেশী দেশকে হারিয়ে গিনেস রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বের সব চেয়ে বড় মানবপতাকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। আর অন্যটি হলো একই সঙ্গে তিন লাখের বেশি মানুষের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল আরেক প্রতিবেশী ভারতের।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা
‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবপতাকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। কয়েক দফা মহড়ার পর বেলা ১টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় চূড়ান্ত চেষ্টা। লাল-সবুজের টুকরোগুলো ছয় মিনিট ১৬ সেকেন্ড মাথার ওপর তুলে রাখে ২৭ হাজার ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী। এর দৈর্ঘ্য ৪৩০ এবং প্রস্থ ২৮৫ মিটার। এর মাধ্যমে মানবপতাকায় গিনেস রেকর্ড করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
গিনেস বুকে এর আগের রেকর্ডটি পাকিস্তানের। গত বছর অক্টোবরে লাহোর হকি স্টেডিয়ামে ওই মানবপতাকার অংশ হয়েছিলেন ২৪ হাজার পাকিস্তানি।
জাতীয় সঙ্গীতে বিশ্ব রেকর্ড
মনবপতাকায় বিশ্ব রেকর্ডের কয়েক ঘণ্টা পরেই জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকাল ০৪ টা ৩১ মিনিটে পাকিস্থানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। বিজয় দিবসের সেই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে একই দিনে ঠিক বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে উপস্থিত লাখো জনতা একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এ রেকর্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।
এর আগে একসঙ্গে এতো বেশি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০১৩ সালের ৬ মে ভারতের লৌখনোতে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার এক লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জনকে জড়ো করেন। যারা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আয়োজন দুটির প্রমাণ হিসেবে সব তথ্য ও ছবি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটির কাছে পাঠানো হবে। অন্যদিকে এই রেকর্ডের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে হোদা ভাসিদের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি গিনেস রেকর্ড প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন।