আর টাওয়ার বসাতে পারবে না মোবাইল ফোন অপারেটররা
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো আর কোনও নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পারবে না। এছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের কাছে আর টাওয়ার ভাড়াও দিতে পারবে না।
চার প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের ফলে এই নীতিমালা জোরদার হলো।
বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে এক অনুষ্ঠানে টাওয়ার শেয়ারিং এর দায়িত্ব পাওয়া ৪ কোম্পানির কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক।
মোবাইল টাওয়ার অবকাঠামো সেবা প্রদানে লাইসেন্স পাওয়া ৪ প্রতিষ্ঠান হলো ইডটকো বাংলাদেশ, সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড।
মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষেণ।ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ারের অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা, ভূমি ও বিদ্যুতের সংকট ছাড়া পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব এর বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মান সম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের ফলে মোবাইল টাওয়ার লাইসেন্স রোল আউট এর উপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কোনো নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পারবে না। এছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের নিকট আর টাওয়ার ভাড়া দিতে পারবে না। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির কাছে তাদের টাওয়ার বিক্রি করতে পারবে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানসমূহকে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার সেবা প্রদান করতে হবে।
টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য ২৫ কোটি টাকা দিয়ে এ লাইসেন্স নিতে হবে, বার্ষিক নবায়ন ফি থাকবে ৫ কোটি টাকা এবং ২য় বছর থেকে বিটিআরসির সাথে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দিতে হবে ১% হারে। লাইসেন্সের মেয়াদ কাল ১৫ বছর।
উল্লেখ্য, দেশে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা প্রদানের জন্য টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেতে গত জুনে ৮টি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে আবেদন করে। এসব আবেদন মূল্যায়ন করে ৪ কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়।