যেসব আমলে হজের সওয়াব
আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবানদের ওপর হজ্জ অবশ্য পালনীয় একটি বিধান। বস্তুত হজ্জ ইসলামি শরিয়তের অন্যতম একটি স্তম্ভ ও রুকন। তবে যাদের হজ্জে অথবা ওমরায় যাওয়ার সামর্থ্য ও সক্ষমত নেই, তাদের জন্যও দয়াবান আল্লাহ এমন কিছু পথ বের করে দিয়েছেন; যেগুলো দ্বারা দুর্বল বান্দারা মকবুল হজ্জের অথবা ওমরাহর সওয়াব পেয়ে যেতে পারে। প্রিয় নবী (সা.) আমাদের সেসব রকমারি পথ বা আমল বাতলিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন হাদিসে। সেসব হাদিসের কোনোটা সহিহ বোখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিজি কিংবা অন্য কোনো হাদিসগ্রন্থে অকাট্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে আবার কোনোটা ওই মানের না হলেও জয়িফ কিংবা মওজু নয়, পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেগুলোকে হাসান বলা হয়। অতএব আমরা যদি বিশ্বাস এবং সওয়াবের দৃঢ় আশ্বাস নিয়ে এসব আমল করতে পারি, তবে ইনশাআল্লাহ অনেক বিরাট প্রতিদানের অধিকারী হতে পারবো।
মসজিদে নামাজের জামাতে হাজির হওয়া। আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করল সে যেন হজ্জ করে আসল। আর যে ব্যক্তি নফল নামাজ আদায় করতে মসজিদে গমন করল সে যেন ওমরাহ করে আসল। (তাবারানি: ৭৫৭৮) হাদিসটি হাসান।
দ্বীন শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়া। এটা অনেক বড় সওয়াবের একটা কাজ। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদে গেল কোনো ভালো কথা শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে, সে পরিপূর্ণরূপে হজ্জ আদায়কারী একজন ব্যক্তির ন্যায় সওয়াব লাভ করবে। (তাবারানি: ৭৪৭৩)
ফজরের নামাজ আদায় করে মসজিদে সূর্যোদয় পর্যন্ত অবস্থান করা। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে বসে আল্লাহর জিকির করল, এরপর দু রাকাত নামাজ আদায় করল, সে ব্যক্তি হজ্জ ও ওমরাহর সওয়াব নিয়ে ফিরল। (তিরমিজি: ৫৮৬)
রমজানে ওমরাহ পালন করা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, রমজানে ওমরাহ আদায় করলে আমার সঙ্গে হজ্জ আদায়ের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। (বোখারি: ১৭৮২, মুসলিম: ২২২)
মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজ ঘরে পবিত্রতা অর্জন করল, তারপর মসজিদে কুবায় এসে কোনো নামাজ আদায় করল, সে ওমরাহর সওয়াব হাসিল করল। (ইবনে মাজাহ: ১৪১২)