হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচ ড্র
স্পোর্টস ডেস্ক:
সামারা এরিনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এক ম্যাচ দেখল ফুটবল বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক দুই দলই লড়েছে প্রায় সমানে সমান। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। পরে পেনাল্টিতে ম্যাচে ফিরে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয়ার্ধেও দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে। তবে ১-১ ড্রতেই শেষ হয়েছে ম্যাচটি।
ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায়ই ধাক্কা খেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ডি বক্সের ভেতরে চতুরতার সঙ্গে আলতো ছোয়ায় সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনকে বল দিয়ে দেন নিকোলাই জারগেনসন। বক্সের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এরিকসন বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে করেন দুর্দান্ত এক গোল, অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ান কোনো সুযোগই পাননি (১-০)। ডেনমার্কের হয়ে গত ১৫ ম্যাচে এটি ১৩তম গোল টটেনহাম মিডফিল্ডারের। এর বাইরে আছে ৫টি অ্যাসিস্টও।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে টম রজিকের শট গোলপোস্টের ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৪ মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতে পারতো ডেনমার্ক। ডানপাশ থেকে হেনরিক ডালসগার্ডের ক্রসে বক্সের মধ্যে দৌঁড়ে এসে মাথা ছুঁয়ালেও সেটা ছয় গজ দূর দিয়ে চলে যায়।
৩০ মিনিটে অনেকটা সময় আক্রমণে ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে রবি ক্রুজের বক্সের মাঝ থেকে নেয়া শট আটকে যায় ডেনমার্কের রক্ষণে। একই মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অ্যারন ময়ের চেষ্টাও বিফলে যায়।
আরও : এবার সমকামী বিয়ে হচ্ছে ব্রিটিশ রাজপরিবারে
৩৬ মিনিটে মার্ক মিলিগানের হেড বক্সের মধ্যে ইউসুফ ইউরারির হাতে লেগে গেলে ভিএআরের শরণাপন্ন হন রেফারি। বল হাতে লাগার প্রমাণ পাওয়ায় হলুদ কার্ড দেখেন ইউরারি, পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মাইল জেডিনাক ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ইউসুফ ইউরাফি পউলসেন। ডিফেন্ডারদের চাপে তাল সামলাতে পারেননি তিনি। সেখান থেকেই জারগেনসেন হয়ে বল পেয়েছিলেন সিস্তো। তবে সেটা তিনি মেরে দেন গোলপোস্টের ডান দিকে বাইরে দিয়ে।
৬৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার সংঘবদ্ধ একটি আক্রমণ আলোর মুখ দেখেনি। বক্সের ডানদিকে বল নিয়ে যাওয়া লেকিকে আটকাতে সামনে চলে এসেছিলেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মেইচেল। তার পায়ের নিচ দিয়ে বলটা সতীর্থর দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লেকি। কিন্তু ডেনিশ ডিফেন্ডার সেটা কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন।
এর তিন মিনিটের মাথায় অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ময়ের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বুলেট গতির শট একটুর জন্য পোস্টের কোনা দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফিরতি আক্রমণে ৭২ মিনিটে দূর থেকে একইরকম শট নিয়ে একটুর জন্য জাল মিস করেন ডেনমার্কের সিস্তো।
৮৮ মিনিটে একইসঙ্গে দুটি সুযোগ তৈরি করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বক্সের ডানপাশ থেকে ড্যানিয়েল আরজানির শট রুখে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক স্মেইচেল। এরপর ম্যাথু লেকির বক্সের মধ্যে থেকে নেয়া শটও বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে আটকে দেন তিনি। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।