ক্ষমতা আদায় করে নিতে হবে : ফখরুল
নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সবাই কম বেশী হতাশায় ভুগী। তবে হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। আমাদেরকে লড়াই করতে হবে, আর লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছাবো। নির্বাচন হবে, আমরা ক্ষমতায় যাবো, এটা মনে করার কারণ নেই। আপনাকে আদায় করে নিতে হবে। এজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সবসময় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একটা কথা বিশ্বাস করি, ‘হোয়েন দেয়ার ইজ ক্রাইসিস গো টু দ্য পিপল, লার্ন ফ্রম দেম’। তাদের কাছ থেকে জানো, তারপর সেটাকে প্রয়োগের চেষ্টা করো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের সব জায়গায় যাবো। মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি অবশ্যই নির্বাচন চাই। কিন্তু এর আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এই কথাগুলো আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) কথা বলবে না এবং আসবে না। বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়ে যাবে। বিএনপি না আসলে কি হবে। অন্য দল আসবে। এটাই তো তারা (আওয়ামী লীগ) চায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এখনও সময় আছে আলোচনায় আসুন।
তিনি বলেন, আমরা এই দেশে কিন্তু বাকশালও দেখেছি। মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদেরকে সেভাবেই এগোতে হবে। বর্তমান সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য কয়েকটি পয়েন্টে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা হবে । বর্তমান সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য জাতীয় ঐক্য খুব বেশী দরকার। খুব বেশী পয়েন্ট নয়। কয়েকটি পয়েন্টে আমরা সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে পারি।
১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবার দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাচ্ছি। আমরা বলছি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে আপনারা দেশটাকে বাঁচান। আমরা মুরুব্বিদের কাছে যাচ্ছি। বলছি, আপনারা দেশের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশটাকে রক্ষা করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন প্রমুখ ।