সরকার চায়, বিএনপি নির্বাচনে না আসুক: মির্জা ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন অবশ্যই নির্বাচনের মতো হতে হবে। যদিও বর্তমান সরকার চায়, বিএনপি নির্বাচনে না আসুক। অন্যান্য দল দুই-একটা যা আছে তারাই থাকুক।’ বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে তিনি এসব বলেন। সেখানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন, হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে ঘুরে ভোট চাইবেন আর বিরোধী দলকে একটা কথাও বলতে দেবেন না, তাদেরকে ধরে ধরে নিয়ে জেলে ভরবেন— এভাবে করলে তো হবে না। নির্বাচনে সমান মাঠ থাকতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সামাজিক সংস্কৃতি অনুযায়ী এখানে একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে ও সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।’
আরও : এবার সমকামী বিয়ে হচ্ছে ব্রিটিশ রাজপরিবারে
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত রাতেও (বুধবার) গাজীপুরের কাশিমপুরে আমাদের দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য বলে আসছি আমরা। যেদিন আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলো আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলো, তাকেসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করলো। আর হাইকোর্ট যেদিন নির্বাচন বন্ধ করলো ওইদিন আমাদের আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ২১৩ জনকে মামলা দিলো। এটা হলো আমাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটা হলো আমাদের সিইসি সাহেবের খুলনার মতো নির্বাচন না হওয়ার নমুনা। আমি জানি না, এই দেশ আওয়ামী লীগ সরকার চালাচ্ছে নাকি অন্য কেউ?’
বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব। তার ভাষ্য, ‘হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। লড়াই করতে হবে, লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়েই পৌঁছাবোই। আমরা এই দেশে কিন্তু বাকশালও দেখেছি। মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদেরকে সেভাবেই এগোতে হবে। নির্বাচন হবে, আমরা ক্ষমতায় যাবো, এটা মনে করার কারণ নেই। আপনাকে আদায় করে নিতে হবে। এজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। সবসময় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একটা কথা বিশ্বাস করি, হোয়েন দেয়ার ইজ ক্রাইসিস গো টু দ্য পিপল, লার্ন ফ্রম দেম। তাদের কাছ থেকে জানো, তারপর সেটাকে প্রয়োগের চেষ্টা করো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের সব জায়গায় যাবো। মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করবো।’