উত্তর কোরিয়ায় যাবেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সাথে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রোববার দেশটির গণমাধ্যম এ বিষয় নিশ্চিত করেন। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়াংইয়ংয়ে এই প্রথম কিমের সাথে অন্য কোনো দেশের প্রধানের বৈঠক হতে যাচ্ছে।
৩০ মে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) গণমাধ্যমকে আসাদ জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ায় দেশটির নেতা কিম জং উনের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পরবর্তীতে এ বিষয় আর কোনো তথ্য আসেনি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মুন জং নাম এর কাছে প্রত্যার্পণ পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ। পিয়াংইয়াং ও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মধ্যে সবসময় ভালো সম্পর্ক বজায় থাকায়, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদনের সাথে উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতা আছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন জাতিসংঘ। যা প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এ বছরের শুরুতেই কিম, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের সাথে বৈঠক করেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে এক বৈঠকের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ বছরের আগ পর্যন্ত কিম আর কোনো রাষ্ট্রের প্রধান নেতাদের সাথে বৈঠক করেনি।
এদিকে, কেসিএনএ’র গণমাধ্যমকে আসাদ জানান, ‘আমি নিশ্চিত কিম কোনো ব্যর্থতা ছাড়াই কোরিয়ার একত্রীকরণে সাফল্য লাভ করবেন। তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার সরকার সব সময় রাজনৈতিক ও সকলভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে আছে, থাকবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যানুসারে সিরিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক করে ১৯৬৬ সালে দামেস্কে একটি দূতাবাস খোলা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে পিয়াংইয়ংয়ে খোলা হয়। ইয়ন