‘যাকে মেরে ফেলা হয়েছে তার জানাজায় এক লাখের বেশি মানুষ হয়েছে’
মাদক নিমূল অভিযানে যারা নিহত হয়েছে তারা অনেক গরিব মানুষ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেছেন, অভিযানে কোনো গডফাদার মারা যায়নি। বরং গডফাদারের দোহাই দিয়ে একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে যার জানাজায় এক লাখের বেশি মানুষ শরিক হয়েছে। একজন লোক যদি এলাকায় নিন্দিত হয় তাহলে তার জানাজায় এক লাখ লোক কেন হবে। তার মানে একজন নিরপরাধ লোককে মেরে ফেলা হয়েছে।
সাংবাদিক শাদাত সাকেরের উপস্থাপনায় বাংলাভিশনে প্রচারিত ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও : ফ্রান্স বনাম পেরুর খেলাটি দেখুন ….(সরাসরি)
মাহফুজউল্লাহ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। কিন্তু সরকার মাদকবিরোধী অভিযানে বিনা বিচারে কাউকে শাস্তি দিয়ে দেয়। বর্তমান সরকার বলছে, অনেকগুলো মামলা (যুদ্ধাপরাধ, ১৫ আগস্ট) নিষ্পত্তি করেছে আইনের মাধ্যমে। যে সরকার এসব কথা বলে, ১৫ আগস্ট বা যুদ্ধাপরাধের চেয়ে কম অপরাধের জন্য এই ব্যবস্থা করবে এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।’
তিনি মনে করেন, নির্বাচনের বছরের আগে সরকার এমন একটি অভিযান করছে গুড গভর্নরের চেহারা দেখানোর জন্য। ফিলিপাইন বা থাইল্যান্ডের উদাহরণ দেখিয়ে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট কিন্তু গুলি করে মারবেন বলেই ক্ষমতায় এসেছেন। আপনি যখন ১০০-র বেশি মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলেন, সেটা যুক্তিসংগত পর্যায়ে পড়ে না। সবার কাছে অস্ত্র আছে, ওই সব সাধারণ মাদকসেবীদের কাছে অস্ত্র আছে এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। যেসব গডফাদারের নাম এসেছে তাদের কেউ যদি গ্রেপ্তার হতেন তাহলে এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারত।
মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই সামগ্রিক লড়াই- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ মেরে আপনি এর সমাধান করতে পারবেন না। হয়তো সাময়িক কিছু সময়ের জন্য ভয় পাবে, কিন্তু বন্ধ হবে না। যে রাষ্ট্র ও সমাজ আইনের শাসনের কথা বলে সেই সমাজে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য কাজ হতে পারে না। যারা একেবারে ছোট বাহক তাদের হত্যা করা হচ্ছে। গডফাদারদের মেইন স্টিমটা বন্ধ না করে ছিঁচকেদের হত্যা করে কতটা লাভ হচ্ছে?