কি আক্ষেপ পপির?
বিনোদন প্রতিবেদক : অভিনেত্রী পপি এখন অভিনয় আর শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি পারিবারিক কাজ নিয়েও চরম ব্যস্ততায় কাটছে তার দিন। পপি বলেন, আব্বুর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সম্প্রতি স্ট্রোক করেছেন। হার্ট আর কিডনির অবস্থাও খারাপ। বারডেমে ভর্তি আছেন। আব্বুর জন্য দোয়া চাইছি। তার কথায় জীবনযাপন করতে গেলে কাজের বিকল্প নেই। এমন জটিল অবস্থার মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে ‘কঠগড়ায় শরত্চন্দ্র’ আর ‘সাহসী যোদ্ধা’ ছবি দুটিতে অভিনয় করছি। এ ছাড়া স্টেজ শো আর নানা আয়োজনে অংশ নিচ্ছি। মানে কাজের মধ্যে বেঁচে আছি। সময় দিতে পারছি না বলে ঈদের নাটকে কাজ করা হচ্ছে না।
পপি দুঃখ করে বলেন, মানসম্মত ছবি নির্মাণে টেকনিক্যালসহ যাবতীয় সাপোর্টের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশীয় ক্রীড়াঙ্গন, বিশেষ করে ক্রিকেটের প্রভূত উন্নয়ন হলে চলচ্চিত্র শিল্পের কেন উন্নয়ন হবে না। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অবশ্যই খুবই আন্তরিক। সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। টেকনিক্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, প্রতি জেলায় সিনেপ্লেক্স নির্মাণ, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে শুধু আর্ট ফিল্ম , কমার্শিয়াল ছবির নির্মাতাদের ছবি নির্মাণ করতে দিতে হবে এবং ভালো ছবি নির্মাণ করলে তাদের আবার অনুদানসহ পুরস্কৃত করা হবে এমন ঘোষণা দিলে এক্ষত্রে প্রতিযোগিতায় গিয়ে ভালো ছবি নির্মাণ হবে। এই পরিবেশ তৈরি করতে পারলে ‘মানসম্মত ছবি নেই’ এই অজুহাতে প্রদর্শকরা সিনেমা হল বন্ধ ও বিদেশি ছবি আমদানির সুযোগ পাবে না।
পপি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সবাই শুধু শিল্পী সংকটের অজুহাত দেখিয়ে নতুন মুখ খুঁজতে ব্যস্ত। আমি বলব, শিল্পীর কোনো অভাব নেই। ভালো গল্প ও নির্মাতার অভাব চলছে। শিল্পী না খুঁজে গল্প আর নির্মাতার অনুসন্ধান করলে ভালো হবে। না হলে মানসম্মত ছবির সংকট কাটবে না। পপির কথায় দর্শক সিনেমা হলের প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ভালো ছবি পেলে সেখানে ছুটে যায়। তাই ভালো গল্প আর আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ছবি নির্মাণ করতে হবে। এই শিল্পটির সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে আবারও সমৃদ্ধ করতে সরকার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শতভাগ সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখলে সরকার যেমন রাজস্ব পেয়ে লাভবান হবে তেমনি দর্শক আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও উন্নত নব সৃষ্টি প্রাপ্তির আনন্দে ভাসবে, উপকৃত হবে।বিডিপ্রতিদিন।