সাতক্ষীরায় শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সোহাগ হোসেন (২৭) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার দিবাগত রাত ২ টা ৩০ মিনিটের সময় কলারোয়া উপজেলার হিজলদি সীমান্তে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি অনশুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার কেড়াছাগাছি ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ৯ বছরের শিশু ধর্ষনের ঘটনায় গতকাল শনিবার শিশুটির নানী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় বোয়ালিয়া গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেনকে। এঘটনার পর পুলিশের এস আই সোলাইমানের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতারে জন্য পুলিশ অভিযানে নামে।
তিনি আরও জানান, অভিযানের খবর পেয়ে সোহাস হোসেন রাত আড়াই টার দিকে হিজোলদি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে সে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনা স্থলে গুলিুবিদ্ব হয়ে সোহাগ হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ একটি অনশুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলার কেড়াছাগাছি ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ৯ বছরের শিশু কন্যা ওই গ্রামে তার নানীর বাড়ীতে থেকে লেখাপড়া করে আসছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বোয়ালিয়া গ্রামের তার নানীর বাড়ীর পাশ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে লম্পট সোহাগ হোসেন তাকে জাপটে ধরে জোরপুর্বক পাশবিক নির্যাতন করে। এসময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় লম্পট সোহাগ।
ঘটনার পর আহত ৯ বছরের ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।