রহস্যময় ভাস্কর্যে তারকারা
বিনোদন ডেস্ক : অনেক সময় তারকাদের নিয়ে তৈরি ভাস্কর্যগুলো তাঁদের নামের প্রতি সদ্ব্যবহার করে না। তাই এসব ভাস্কর্যকে বলা হয় ‘রহস্যময়’। চলুন ছবিঘরে দেখি ইউরোপের তারকাদের তেমন কয়েকটি ভাস্কর্য।
জিনেদিন জিদান
ফুটবল জগতে জিদানকে মূল্যায়ন করা হয় মারাদোনা-পেলেদের কাতারে। কিন্তু ২০০৬ বিশ্বকাপের এক ঘটনায় তিনি একবারের জন্য হলেও নিজেকে চিনিয়েছেন ভিন্নভাবে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইটালির খেলোয়াড় মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরে লালকার্ড দেখেছিলেন তিনি। সেই ঘটনাটিকেই ২০১২ সালে তামার ভাস্কর্যে রূপান্তর করেছেন আলজেরিয়ান শিল্পী আদেল আবদেসেমেদ।
আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার
২০১১ সালে নিজের উদ্যোগেই নিজের ভাস্কর্য উন্মুক্ত করেছেন এই সাবেক মিস্টার ইউনিভার্স। এই বডিবিল্ডারের মাংসপেশির ভাঁজগুলোকে সুচারুরূপে এক ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তুলেছেন মার্কিন শিল্পী রালফ ক্রফোর্ড। তিন মিটার লম্বা এই তামার মূর্তিটির ওজন তিনশ’ কিলোগ্রাম৷ ভাস্কর্যটি রয়েছে তাঁর জন্মস্থান অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে।
ডেভিড বোয়ি
ব্রিটিশ পপ লেজেন্ড ডেভিড বোয়ি সবসময় নিজেকে সৃজনশীলভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে এটা পরিষ্কার নয়, তিনি এই ভাস্কর্যটি পছন্দ করেছেন কিনা। সম্ভবত গ্রিক মিথোলজি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভাস্কর্যে তাঁকে দেয়া হয়েছে ঘোড়ার পা। এটি বোয়ি’র জীবন ও কাজের মতোই রহস্যময়।
কলিন ফার্থ
ব্রিটিশ অভিনেতা কলিন ফার্থের এই ভাস্কর্যটি ২০১৩ সালে পুরো ব্রিটেন সফর করেছে। ১২ ফুট লম্বা এই মূর্তিটি ফাইবার গ্লাসে তৈরি। এটি মূলত একটি ব্রিটিশ প্রচার মাধ্যমের ক্যাম্পেইন ছিল। এটি ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডিস’ ছবির একটি আইকনিক দৃশ্য থেকে নেয়া হয়েছে, যেখানে কলিন ফার্থের (মি. ডারসি) চরিত্রটি একটি লেক থেকে আবির্ভূত হয়।
জিনা লোলোব্রিজিদা
এক সময় ভাস্কর হিসেবে কাজ করেছেন অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা। ছয় মিটার উঁচু এই মডেলটি তিনি নিজেই ডিজাইন করেছেন। এটি ইটালির শহর পিয়েত্রাসান্তায় অবস্থিত৷ এই আর্টওয়ার্কটি ১৯৫৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দ্য হাঞ্চব্যাক অফ নত্রদাম’-এ তাঁর চরিত্র এসমেরাল্ডা’র প্রতিচ্ছবি।-ডয়েচে ভেলে।
ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ