তিনি তার ফেসবুকের মাধ্যমে আরো জানিয়েছেন, কোটা নিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠীদের বিষয়টি বিশেষভাবে দেখার কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। যেহেতু কথাগুলো প্রধানমন্ত্রী রাগ- ক্ষোভ- ক্ষুদ্ধতার সঙ্গে বলেছেন, সে কারণে ‘কোটাই দরকার নেই’ কথাটা এভাবে এসেছে। সরকার আগামী কয়েকদিনে কী পদক্ষেপ নেয়, তার উপর নির্ভর করছে কোটা পদ্ধতির ভবিষ্যৎ।
প্রধানমন্ত্রী ভিসির বাড়ি ভাঙচুরকারীদের বিষয়ে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই ‘অজ্ঞাতনামা বিপুল সংখ্যক’ শিক্ষার্থীদের আসামী করা মামলায় নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন। কোটা সংস্কার আন্দোলন করার জন্যে কেউ যেন নাজেহাল না হন। ভিসি, প্রক্টোরিয়াল বডি, শিক্ষক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিজেদের দুর্বলতাটা বিবেচনায় নিয়ে, শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সংবেদনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নতুন কোনো জটিলতা যেন তৈরি না হয়। হটকারী নয়, সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতা প্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীরা সারারাত ধরে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দ্বারা নিপীড়িত- নির্যাতিত, রক্তাক্ত হওয়ার সময়, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের তদন্তের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সবগুলো ঘটনা তদন্ত হতে হবে। ক্যাম্পাসে কারা বহিরাগত ক্যাডারদের এনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করাল, তাও তদন্ত হওয়া দরকার। শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করার জন্যে হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দেয়ার ভুল পথ থেকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরে আসা দরকার।