মোস্তাফিজকে ‘হেয়ও’ করার চেষ্টা ভারতীয় মিডিয়ার
স্পোর্টস ডেস্ক : অভিষেকের পর থেকেই জাতীয় দলে অটোমেটিক চয়েজ মোস্তাফিজুর রহমান। মাঝপথে ইনজুরিতে আক্রান্ত হলেও তার কাটারের ধার কমেনি।
আগের মতো এখনও তার বল খেলাটা যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য দুরূহ ব্যাপার। যে কারণে তাকে দলে নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের টিম ম্যানেজমেন্ট কর্তারা।
আইপিএলের চলতি আসরেও মোস্তাফিজকে দলে নিতে রীতিমতো কাড়াকাড়ি লেগে যায়। প্রায় তিন কোটি টাকায় কাটার মাস্টারকে দলে ভেড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
অথচ ভারতীয় একটি মিডিয়া বলছে, পিঠের ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া প্যাট কামিন্সের কারণে নাকি মোস্তাফিজের ভাগ্য খুলে গেছে?
বিষয়টা আসলেই হাস্যকর। মোস্তাফিজকে দলে জায়গা পেতে আবার কারো ইনজুরিতে পড়া লাগে নাকি? কাটার মাস্টার তো যে কোনো দলের জন্যই ‘কী’ প্লেয়ার।
মুম্বাইয়ের সর্বশেষ ম্যাচেও অসাধারণ বোলিং করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই পেস বোলার। ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত দলকে খেলায় রাখেন তিনি।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান। এমন অবস্থায় অসাধারণ ব্যাটিং করেন ডুয়াইন ব্রাভো। ১৮তম ওভারে ম্যাকলেনাহানকে দুই ছয় এবং এক চারের মারে ২০ রান নিয়ে নেন ব্রাভে। মূলত এই ওভারেই হেরে যায় মুম্বাই।
জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ১৯তম ওভারে জসপ্রীত বুমরাকে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে খেলাটি নিজেদের করে নেন ব্রাভো। শেষ দিনে ৬ বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান।
দলের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও সেদিন অসাধারণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ওভারের প্রথম তিনটি বল ডট দিয়ে দলকে খেলায় রাখেন কাটার মাস্টার।
কিন্তু ব্রাভো ‘ঝড়’র কারণে পরাজয় মেনে নিতে হয় মোস্তাফিজদের। ৩০ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ব্রাভো।
চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৩.৫ ওভারে ৩৯ রানে ১ উইকেট নেন কাটার মাস্টার।