২০ রেল ইঞ্জিন ও ১৫০ কোচ কেনা হচ্ছে
ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো ও যাত্রীসুবিধা বাড়াতে ২০টি রেল ইঞ্জিন ও ১৫০টি কোচ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো কেনা হবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
রেল ইঞ্জিন ক্রয়সংক্রান্ত এ প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ মঙ্গলবার ১৬ হাজার ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। খবর বাসস।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১ হাজার ১৬৫টি যাত্রীবাহী মিটারগেজ ক্যারেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫৬টি যাত্রীবাহী কোচের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে, ১৩৫টির মেয়াদ ৩১-৩৪ বছর। যাত্রী চাহিদার কারণে মেরামতের মাধ্যমে মেয়াদ উত্তীর্ণ যাত্রীবাহী কোচগুলো ব্যবহার করা হলেও তা আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন আরামদায়ক ও নিরাপদ নয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ, নিরাপদ ও উন্নত গুণসম্পন্ন লোকোমোটিভ এবং যাত্রীবাহী ক্যারেজ সরবরাহ; যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য নতুন ট্রেন পরিচালনা এবং রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন, রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায়, রাজশাহী বিভাগ (সিরাজগঞ্জ জেলা ব্যতীত) পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ প্রকল্প, ‘কৃষিতথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষিতথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ’, কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগের ‘অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন’;
‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’ প্রকল্প, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’; ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (পঞ্চম পর্যায়)’; ‘চক্ষু স্বাস্থ্যর উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ প্রকল্প’; চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং ব্রিজগুলোর উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সড়ক আলোকায়ন; ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর)
জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সিরতা, ময়মনসিংহ ও কালকিনি, মাদারীপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।
এসব প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১১ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩০০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।