বাঞ্ছারামপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানবন্ধন
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর/২০১৭) দৈনিক যুগান্তরে ‘বাঞ্ছারামপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ’ শিরোনামে এক মিথ্যা কল্পকাহিনীর সংবাদ প্রকাশ করে। যে সমস্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তার প্রতিটি-ই সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি গত ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার গণিত বিষয়ের তার সম্পৃক্ত স্কুলটির সকল শিক্ষার্থীদের (শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা খারাপ হবার কারনে) পরীক্ষার খাতা পূর্ণমূল্যায়ন/ভুল অংকগুলো টেম্পারিং করে সঠিক করে দেয়ার জন্য আমার কাছে দাবী করে।
এতে হয়তো তিনি দরিকান্দি স্কুলের ঐ সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে ‘বাহাবা-মহান’ বা ‘প্রভাব-ক্ষমতা’দেখানোর সুযোগ পেতো।আমাকে হয়তো কিছু উৎকোচ দিতো।কিন্তু,এমন গর্হিত ও অনৈতিক কাজ আমার দ্বারা কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে তার এই অনৈতিক প্রস্তাব নাকচ করে দিলে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
যার ফলশ্রুতিতে যুগান্তরে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে আমার ভাবমূর্তী, সন্মান নষ্ট করার চেষ্টা করে। একই দিনে এহেন ন্যাক্কারজনক মিথ্যা সংবাদ দেখে বাঞ্ছারামপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আমার সহকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ বয়কট করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন।
কারন, উপজেলার সন্মানীত শিক্ষকরা জানেন আমি কতোটা সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমি আমার সরকারি পবিত্র দায়িত্ব পালন করি। সন্মানীত শিক্ষকদের ‘মিথ্যা প্রতি এমন প্রতিবাদী মানববন্ধন’-এ এবং সহমর্মিতায় আমি চির কৃতজ্ঞ।
নৌশাদ মাহমুদ
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া