‘স্মার্ট কফি বালকের’ পার্শ্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি : কফি বালক! স্মার্ট কফি বালক! কিছুদিন আগে জাগো ফাউন্ডেশনের অঙ্গসংগঠন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কিছু ভলান্টিয়ার এর ফেসবুকে একটি ছোট ৯ বছরের বালকের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। বালকটি রাস্তায় রাস্তায় ফেরী করে কফি বিক্রি করে। সংগঠনটির এক কর্মী বালকটি কাছে তার জীবন কাহিনী শুনার ইচ্ছে প্রকাশ করে। আলোর পিছনের অন্ধকারের মত করুন তার পারিবারিক জীবন কাহিনী নির্ভর গল্প উঠে আসে। সেই গল্পগুলি ঐ সংগঠনটির কিছু কর্মীরা সোস্যাল মিডিয়ায় বালকটির ছবি সম্বলিত আকারে প্রকাশ করে।
কিছুক্ষনের মধ্যে এই দুঃখভরা ষ্ট্যাটাসগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু মিডিয়া নিউজ আকারে বালকটির জীবন কাহিনী প্রকাশ করে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা? কে এই কফি বালক? কি তার পরিচয়? অনলাইনের জগতের সৌজন্যে ঘটনাটি খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। যেই নিউজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ভালবাসার ফেরিওয়ালা খ্যাত তুমুল জনপ্রিয় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) এর দৃষ্টিতে আসে।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
সাথে সাথেই ছেলেটির ব্যপারে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন কে। তারপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংগঠনটির সদস্যদের বলেন এই কফি বালককে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য। পরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর সবার প্রিয় মানুষটির সাথে, সেই স্মার্ট কফি বালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কফি বালক খ্যত ছেলেটি দেখা করে। ওর দুঃখে ভরা জীবন কাহিনী আবারও বর্ণনা করে তখন। বিশেষ করে সারাদিন যা আয় করেন তার মধ্য থেকে নাকি সামান্য টাকা পান কোম্পানীর কাছ থেকে কফি বিক্রি করার পর।
সেই টাকা দিয়েই তার পরিবার খেয়ে-না খেয়ে জীবন ধারন করে। সেই দুঃখের কাহিনী শুনে পুলিশ সুপার ওর যাবতীয় কফি বিক্রির জিনিসপত্র আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ক্রয় করে দিবে আশ্বাস দেন। সেই সাথে ওকে একটা স্কুলে ভর্তি করে দিবে এমনকি তার যাবতীয় খরচ জেলা পুলিশ বহন করবে এই আশ্বাসও দেন। ঐ সময় জাগো ফাউন্ডেশনের অঙ্গ সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভলান্টিয়াররা ছাড়াও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।