সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর সেই ডাক্তার-ক্লিনিককে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

পটুয়াখালীর বাউফলে পেটে গজ রেখে সেলাই করার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাকসুদাকে ৯ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে কথিত চিকিৎসক রাজন দাস ওরফে অর্জুন চক্রবর্তীকে পাঁচ লাখ ও ক্লিনিক মালিককে চার লাখ টাকা দিতে হবে।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। গত মার্চে পটুয়াখালীর বাউফলে নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন মাকসুদা নামের এক নারী। সেখানে এই কথিত ডাক্তার রাজন দাস পেটে গজ রেখেই সেলাই করেন। ১২ জুলাই আবার অপারেশন করে সেই গজ বের করা হয়। এরপরে ২২ জুলাই এ নিয়ে জাতীয় সংবাদ প্রকাশিত হয়।


জানা যায়, অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী।

গত মার্চে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।


এদিকে ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিন জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন। পরে ৬ নভেম্বর পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডাক্তার নামধারী রাজন দাসের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হয় তাকে গ্রেপ্তারে নির্দেশ দেন আদালত। ১১ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় কথিত চিকিৎসক রাজন দাসকে হাইকোর্টে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর