নাসিরনগর হামলা : অভিযোগ পএ আদালতে দাখিল
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গৌর মন্দির ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় অভিযোগ পএ আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা আহম্মেদ এর বিচারিক আদালতে মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।
এর আগে গত রোববার দুপুরে নাসিরনগর গৌর মন্দির হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পএ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু জাফর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক এর কাছে জমা দেন।
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, মন্দির ভাংচুর মামলার অভিযোগ পত্র পেয়েছি। মূল নথির সাথে যাচাই-বাচাই করে আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ থাকা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন হরিপুর ইউনিয়নের সাময়িক বরখাস্থ হওয়া চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান, মো, হাজী বিল্লাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ২২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবুল হাসেম ও আব্দুল হান্নান ছাড়া বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে জেলে পরিবারের এক যুবক ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্ট করেছেন অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর তাঁকে পুলিশে দেয় একদল যুবক। ৩০ অক্টোবর এলাকায় মাইকে প্রচার করে নাসিরনগর উপজেলা সদরে পৃথক দুটি প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। ওই সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মীরাও অংশ নেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
সমাবেশ শেষে অংশ গ্রহণকারীরা নাসিরনগর সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলায় চালায়। পরে ওই এলাকায় হিন্দুদের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা করা হয়। মামলায় ৩ হাজারেরও বেশী অজ্ঞাত লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ১২৪জনকে পর্যাক্রমে গ্রেফতার করা হয়।