ঢাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবসে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান
আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি।
ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদি চৌধুরী,বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক শাহ্ আলমগীর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান, প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সৈয়দ আবদুল হাদী এবং মহিলা পূনর্বাসন সংস্থার সাবেক সভাপতি, সমাজকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মালেকা খান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে সব মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেনি বলেই আজো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই দেশে আর অনির্বাচিত কেউ শাসন করতে পারবেনা। এই দেশ গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিচালিত হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন যারা ভিন্ন চিন্তা করেন তাদের উদ্দেশ্য সফল হবেনা। সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালিত হবে।
বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ‘সাধারন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত হলো।জনগণের সমর্থন ছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি। অবরুদ্ধ অঞ্চলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর মুক্ত হওয়ার খবর প্রেরণা জুগিয়েছিল, আমাদের বিজয় তরান্বিত করেছিল। নানা সময়ে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ্য করে অস্ত্রহাতে যারা যুদ্ধ করেছেন তাঁদেরকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি তরুন প্রজন্মকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুর মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সমাজকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মালেকা খানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এমন আয়োজনে উদ্যোগ নিলেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শরাফত হোসেন এবং পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ সাহেদ হোসেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুসীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।