g বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণের পর বঙ্গভবন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন বিধি অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে আইন মন্ত্রণালয়।

তবে কবে নাগাদ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, তা কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সমকালকে জানান, নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। তিনি এ বিষয়ে জানেন না।

তার মতে, রাষ্ট্রিপতি যখন নিয়োগ দেবেন, তখনই জানা যাবে। তিনি বলেন, নতুন নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী যিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে আছেন, তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন।

বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংসদ অধিবেশনে আছি। অফিসে যাইনি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।

এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। এ-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য হয়েছে। তাই সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি একক সিদ্ধান্তকে প্রধান বিচারপতি পদে আপিল বিভাগের যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন। এখন সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।’

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে, তা একমাত্র রাষ্ট্রপতিই ভালো জানেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিই জানেন।’ তিনি বলেন, দুটি বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সম্পূর্ণ এখতিয়ার। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা। কাজেই রাষ্ট্রপতি যখন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন তখন সবাই দেখবেন, আমিও দেখব।’

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ২ অক্টোবর অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি ছুটিতে যাওয়ার পর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়া যান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। যাওয়ার আগমুহূর্তে প্রধান বিচারপতি লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অসুস্থ নন।

পরদিন ১৪ অক্টোবর এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতিরা জানান, ওইসব অভিযোগের ‘গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা’ তিনি না দিতে পারায় সহকর্মীরা তার সঙ্গে এজলাসে বসতে নারাজ। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পদত্যাগপত্র জমা দেন ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।