মালয়েশিয়ার কুয়ায়ালালামপুরে মঙ্গলবার টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাইফ হাসান। তবে মাঠে নামার কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি বাগড়া দিলে ম্যাচ কমিয়ে আনা হয় ৩২ ওভারে। শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসতে পারেনি। মূলত বাংলাদেশি যুবা স্পিনারদের ঘূর্ণিতে পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে নির্ধারিত ৩২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত। তবে ডিএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রান।
বাংলাদেশের রবিউল হক ৪৩ রানের খরচায় তুলে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নাইম হাসান ও আফিফ হোসেন। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন সালমান খান। এছাড়া অনুজ রাওয়াত করেন ৩৪ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৮২ রানের ওপেনিং জুটি এনে দেন দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও নাইম শেখ। এরপর দ্রুত ২টি উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন পিনাক। এ দুই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন। ফলে ৪ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় যুবা টাইগাররা।
বাংলাদেশের পক্ষে পিনাক ৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৭৭ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৩২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন হৃদয়। এছাড়া নাইম করেন ৩৮ রান। ভারতের পক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছেন মানদিপ সিং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৩২ ওভারে ১৮৭/৮ (রানা ১৫, কালরা ১, অনুজ ৩৪, পরাগ ১৯, হার্ভিক ২, অভিষেক ৯, সালমান ৩৯*, দারশান ১৩, শিবা ১৭, মানদিপ ৭*; হাসান ০/২৮, অনিক ০/৩৪, নাঈম ২/৩৮, রবিউল ৩/৪৩, আফিফ ২/৩৮)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: (লক্ষ্য ৩২ ওভারে ১৯০) ২৮ ওভারে ১৯১/২ (পিনাক ৮১*, নাইম ৩৮, সাইফ ১৬, তৌহিদ ৪৮*; আর্শদীপ ০/৪৬, দারশান ০/৩১, মানদীপ ২/৩৬, শিবা ০/৩০, পরাগ ০/১৬, অভিষেক ০/৩০)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী। -পরিবর্তন