আখাউড়ায় অধিকাংশ স্কুলে গাওয়া হচ্ছেনা জাতীয় সংগীত
---
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়েল নির্দেশনা মতে প্রতিটি কর্মদিবসে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতে হবে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪টি। সকাল ৯টায় শ্রেণীকক্ষ খোলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমাবেশ এবং জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে পাঠদান। স্কুল ছুটি হবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। সরজমিনে উপজেলার ভবানীপুর, দূর্জয়নগর, মনিয়ন্দ দক্ষিন, হীরাপুর, রহিমপুর, হীরাপুর-কুড়িপাইকা, খড়মপুর, নুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ে শ্রেণী কক্ষ খোলা হয় না। সমাবেশ এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। সকাল সাড়ে ৯টায় ক্লাশ শুরু করার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ স্কুলেই পোনে দশটার পরে পাঠদান শুরু হয়। অধিকাংশ শিক্ষক নির্ধারিত সময়ে স্কুলে আসেন না।
খড়মপুর ও মনিয়ন্দ গ্রামের দুই অভিভাবক বলেন, প্রায়ই সময় স্কুল দেরিতে খোলে। সমাবেশ ও জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখি নাই। এ ব্যপারে পৌরশহরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সামনে বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সমাবেশ ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বন্ধ রেখেছি। দেরি করে স্কুল খোলা প্রসঙ্গে একজন প্রধান শিক্ষিকা বলেন, সব সময় দেরি হয় না। মাঝে মধ্যে যানজটের কারনে আসতে দেরি হয়ে যায়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আলীম রানা বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সমাবেশ, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে থাকে তাহলে অন্যায় করেছে। খোঁজ নিয়ে এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।