টেস্টে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং দ. আফ্রিকার
---
স্পোর্টস ডেস্ক :প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও টস হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরেই মনে হচ্ছে প্রোটিয়া জিতেছে।
দ্রুত রান তুলে চলেছেন ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী জুটি ডেন এলগার ও এডেন মাকরাম দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এ জুটির সুবাধে কোনো ১৮২ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অপরদিকে টস জিতে বোলিং নিয়েও জ্বলে উঠতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। এক জায়গায় বল করতে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে টাইগারদের।
২৯ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে ২১টি। এর মধ্যে ১৩টি এলগার ও আটটি মাকরাম। ইতোমধ্যে অর্ধশত করেছেন ডেন এলগার ও এডেন মাকরাম। ৫৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে অর্ধশত হাঁকান এলগার। সঙ্গী মাকরাম ৮১ বলে করেছেন হাফসেঞ্চুরি।
পচেফস্ট্রুমে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের সামনে সফরকারীরা। সাদা পোশাকে সাময়িক বিশ্রামে সাকিব অাল হাসান। তাই তামিমের ইনজুরি ব্যাটিং লাইনআপে বড় একটি ধাক্কা। চার বছর আগে ড্র হওয়া গল টেস্ট থেকে প্রেরণা নিতে পারে টিম বাংলাদেশ। সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব-তামিম ছাড়াই দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়েছিল টাইগাররা। ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে বাঁ পায়ের মাংসপেশীতে চোট পান তামিম। সহনীয় ব্যথা নিয়ে খেলেছেন প্রথম টেস্ট। কিন্তু ঊরুর ইনজুরির অবনতি হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে দর্শক ভূমিকায় থাকতে হচ্ছে। মানগাউং ওভালের সম্ভাব্য বাউন্সি উইকেটে তামিমের অনুপস্থিতি অপূরণীয়। পচেফস্ট্রুমে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংস। সঙ্গী হয় বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা। ১০ বছর আগে ইনিংসে একশ’র নিচে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। তাই ব্লুমফন্টেইনে ব্যাটসম্যানদের সামনে অগ্নিপরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
ব্লুমফন্টেইনে এর আগে একটি টেস্টই খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের ফলাফল স্মরণ না করাই ভালো। ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল সফরকারীরা। সেবারই দ. আফ্রিকায় শেষবার টেস্ট সিরিজ খেলেছিলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।