g অস্ট্রেলিয়াকে ৮৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৫শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে ৮৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
news-image

---

স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দুই দিন দাপট দেখায় অস্ট্রেলিয়া। বুধবার বোলারদের দুর্দান্ত দৃঢ়তায় দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই অজিদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরদের চাঙা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিত কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বাজে শটের প্রদর্শনীতে একের পর এক সাজঘরে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারের প্রহর গুনছে মুশফিকুর রহীমের দল। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিততে হলে মাত্র ৮৬ রান করতে হবে অজিদের।

মিরপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারিয়ে চট্টগ্রামে আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে বাজে ফিল্ডিং এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন মিইয়ে যেতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। দিনের দ্বিতীয় ওভারে নাথান লায়নকে আউট করে বাংলাদেশের মুখে হাসি ফোটান মোস্তাফিজ। নাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৫৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় সেই হাসি উধাও হয়ে যায়।

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক ৩১ এবং মুমিনুল করেন ২৯ রান। সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সৌম্য ৯, তামিম ১২, ইমরুল ১৫, সাকিব ২ ও নাসির ৫ রান করে আউট হন।

দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার নাথান লায়ন। ৬০ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন তিনি। প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট নেয়া লায়ন চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ৭ উইকেট। সবমিলিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২২ উইকেট নেন তিনি। দুই টেস্টের সিরিজে তার চেয়ে বেশি উইকেট নেন কেবল রঙ্গনা হেরাথ (২৩টি)। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেন স্টিভ ও’কিফ ও প্যাট কামিন্স।

৭২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে লায়ন, কামিন্স ও অ্যাগারের বোলিং তোপে পড়ে ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে নিজেদের হারের পথ পরিষ্কার করে দেন বাংলাদেশের টপ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। বিপর্যয়ের শুরু সৌম্যকে দিয়ে। প্যাট কামিন্সের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে স্লিপে ম্যাট রেনশকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

দলের বিপদের মুখে উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফিরে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন তামিম। লায়নের করা ১৩তম ওভারের শেষ বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বিগ শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। এর কিছুক্ষণ পর ফের বাংলাদেশ শিবিরে হানা দেন লায়ন। তার বলে এক্সট্রা কভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ‘ক্যাচ অনুশীলন’ করিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল।

মিরপুর টেস্টের অন্যতম নায়ক সাকিবও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। লায়নের করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ৩৯ রানে নেই ৪ উইকেট। বিপর্যয়ের মুখে টাইগাররা। সেই বিপর্যয় আরো বাড়িয়ে দেন নাসির। ও’কিফের করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে সাজঘরে ফিরে সেই চাপ আরো বাড়িয়ে দেন নাসির।

৪৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ মুশফিক-সাব্বিরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজন ৫৪ রানের দারুণ জুটিও গড়েন। তবে লাঞ্চের পর সাব্বির উইকেট বিলিয়ে ফিরলে বাংলাদেশের স্বপ্ন অনেকটাই মিইয়ে যান। দুর্দান্ত বোলিং করা লায়নের নিচু হওয়া বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে খেলতে এসে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন সাব্বির। মিরাজের সঙ্গে ৩২ রানের ছোট জুটির পর মুশফিকের বিদায় বাংলাদেশকে হারের মুখ দাঁড় করিয়ে দেন। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মিরাজ-তাইজুলের ছোট প্রতিরোধের পর ৮ রানের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে নিজেদের পরাজয় ডেকে আনে বাংলাদেশ।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ৯ উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। দিনের দ্বিতীয় ওভারে নাথান লায়নকে আউট করে বাংলাদেশের মুখে হাসি ফোটান মোস্তাফিজ। ৭২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে ওয়ার্নার ১২৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে এশিয়ার মাটিতে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার। এছাড়া সফরকারীদের হয়ে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ৮২, স্টিভেন স্মিথ ৫৮ এবং ম্যাক্সওয়েল করেন ৩৮ রান। অ্যাস্টন অ্যাগার ২২ এবং হিলটন কার্টরাইট করেন ১৮ রান।

বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন। মেহেদী হাসান মিরাজ পান তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সাকিব ও তাইজুল ইসলাম।