দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে রোগ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ। গৃহহীন প্রায় ৬ লাখ বানভাসী মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে। সেইসাথে জ্বর-সর্দি, কাশি, আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাদের।
এজন্য স্থানীয় প্রশাসন এক’শ ২৫টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প খুলেছে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আরো এক’শ ২০টি চিকিৎসা টিম ভানভাসী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তারা পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট, খাবার সেলাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছে বন্যা দুর্গতদের। এছাড়া সেনাবাহিনী এবং বিজিবিও বিনামূল্যে বানভাসী মানুষের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নগদ ১২ লাখ টাকা ৩’শ মেট্রিক টন চাল ও দু’হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ১৫ লাখ টাকা, ২’শ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যাদুর্গত এলাকায় বিতরণ করেছেন। দিন-রাত বন্যার্তদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি ও তার কর্মীরা।
প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ পানিবন্দি মানুষের।
এদিকে সেনাবাহিনীর জেএসি মেজর জেনারেল মাসুদ রাজ্জাক বুধবার দিনাজপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
বানভাসী মানুষের আশ্রয়ে দিনাজপুরের ২’শ ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক’শ ৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেছে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দিনাজপুরের অধিকাংশ সড়ক ও মহাসড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় সেসব সড়ক ও মহাসড়কের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গেছে। এতে দিনাজপুর জেলার সাথে বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রেল লাইন ডুবে যাওয়ায পাঁচদিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে পাবর্তীপুর-পঞ্চগড় রেল যোগাযোগ।