g শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্হা একেবারেই বিকল ! একটু বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নীচে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্হা একেবারেই বিকল ! একটু বৃষ্টিতে রাস্তা পানির নীচে

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১১, ২০১৭

---

বিশেষ প্রতিনিধি : একদিকে সংস্কাররের অভাবে পৌর শহরের অধিকাংশ যান চলাচলের রাস্তারগুলোর একেবারেই নাজুক অবস্হা তার উপর একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে সংস্কারবিহীন পিচঢালা  ভাংঙ্গা রাস্তাসহ পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো। সব মিলিয়ে পৌরবাসীর জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অনেকটাই থমকে দাড়িঁয়েছে মানুষগুলোর জীবনযাএা।আর প্রধান কারণ হচ্ছে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্হা একেবারেই বিকল হয়ে পড়েছে।যে যেভাবে পারছে ফুট-পাত থেকে শুরু করে প্রতিটি  পাড়া-মহল্লার সরকারি  ড্রেনের উপর  জোড় দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছে। এতে অধিকাংশ জায়গা ড্রেনের পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতি বিকল হয়ে পড়েছে।তাই একটু বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তা গুলো পানির নীচে।

সরজমিনে  ঘুরে দেখা যায়,শহরের পুনিয়াউট পিটিআই রাস্তা, উওর মৌড়াইল ষ্ট্রেশন রাস্তা, কালী বাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসষ্ট্যান্ড সড়ক, টেংকের পাড় সড়ক, কাউতলী থেকে কলেজগেইট সড়ক  এরকম অনেক সড়কের বৃষ্টির পানি জমে রাস্তার তলিয়ে যাওয়ার চিএ চোখে পড়েছে। আর এসব সড়ক দেড়/দুই ফুট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এতে রাস্তায় জীবনের তাগিতে বের হওয়া  কর্মময় মানুষগুলোর পৌর শহরের রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা একেবারেই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রায় জায়গায় রাস্তাগুলি ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ঘটেছে দূর্ঘটনা। রিক্সা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা যাএীদের যাতায়ত করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার ঘটনা চোখেঁ পড়েছে।
কথা হয় ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন পৌর বাসিন্দা ও পথচারি সাথে তারা জানান, কয়েকবছর আগে এই শহরে একটানা দুইদিন অর্থাৎ ৪৮ঘন্টা বৃষ্টি হলেও এরকম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতোনা। এর প্রধান হচ্ছে পৌর আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে রাতের আধারে শহরের একের পর এক পুকুর ভরাট হচ্ছে। এছাড়াও পৌর কতৃপক্ষের খাস জায়গা অবৈধ দখল, ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না করা, পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পিত উদ্যোগ না থাকা সব মিলিয়ে এই জলাবদ্ধতা। আসলে আমরা প্রতিবছর নিয়মিত পৌর কর দিলে নাগরিক সুবিধার বিন্দু মাএ উপকার পাচ্ছিনা। আমাদের টাকা সু-কৌশলে লুট-তরাজ করে খাচ্ছে অনেকেই কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে আমরা পৌর কতৃপক্ষের সঠিক নজরদারীর জোড় দাবী জানাচ্ছি।