g ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিমাগারের রক্ষিত নষ্ট প্রোলটি ডিমে বাজার সয়লাব ! জনস্বাস্হ্যের জন্য  হুমকি | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ৮ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ২৪শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিমাগারের রক্ষিত নষ্ট প্রোলটি ডিমে বাজার সয়লাব ! জনস্বাস্হ্যের জন্য  হুমকি

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৪, ২০১৭

---

তৌহিদুর রহমান নিটল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরসহ জেলার বিভিন্ন ডিমের আড়ৎতে গুলোতে হিমাগারে রক্ষিত বাসি প্রোলটি ডিম আমদানী করে তা বাজারজাত করা হচ্ছে দেদারসে। আর এসব ডিম খামারের তাজা ডিমের চেয়ে হালি প্রতি ৪/৫টাকা কম হওয়াতে এক শ্রেনীর অসৎত পাইকাররা তাদের নিজের মুনাফার জন্য খুচরা দোকানদারদের কাছে খুব সহজেই পৌছেঁ দিচ্ছে। বড় ব্যাপার হল এসব  ডিমের গুণগত মাণ অনেকটাই অস্বাস্হ্যকর। ডিমগুলি ভাজিঁ করে নাস্তা অার তরকারি রান্না করে  ভাত দিয়ে খাওয়ার সময়  একটা দুগন্ধ বের হয়ে আসে যা অনেকটা সরিষা তৈলের গন্ধের মত। আর এই দুগন্ধ যুক্ত ডিমগুলোই হচ্ছে হিমাগারে রক্ষিত এক ধরনের গুণগত মান নষ্ট হয়ে বাজারজাত করা ডিম। পৌর শহরের ফারুকি বাজার মালেক ও বাবুল আড়ৎত কাউতলীর সেলিম ও শামীমের আড়ৎত। এই রকম রয়েছে আরো কিছু আড়ৎত। যারা পুরো শহরের ডিমের ব্যবসার একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব ডিমের আড়ৎতের মর্ধ্যে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে আনছে এসব প্রোলটি হিমাগারের ডিম।

সরজমিনে ঘুরে খোজঁ নিয়ে বেড়িয়ে আসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তা হলো গত রমজান মাসে প্রোলটি ডিমের দাম পাইকারি বাজারে যখন  ১৬/১৭টাকা  হয়ে গিয়েছিল তখন এক শ্রেণীর ডিমের ব্যবসায়ী তাদের অধিক মুনাফার কথা চিন্তা করে সারাদেশে খামারগুলোর থেকে কম দামে কিনে তা হিমাগারে রেখে দেয়। আর কাচাঁমাল হিসেবে দুই মাসের উপরে সময় হিমাগারে থেকে এসব ডিমের গুণগত মান অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তা এখন পাইকাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে
হালি প্রতি ২৪/২৫টাকা ধরে বিক্রি  করছে। আর খুচরা দোকানদাররা তা ২৮টাকা ধরে বিক্রি করছে। আবার অন্যদিকে প্রোলটি খামার থেকে নতুন ডিম পাইকাররা ২৬/২৭ ধরে আমদানী করে তা তা ২৮ধরে খুচরা মার্কেটে দিচ্ছে। লক্ষ করার মত সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো  লাভের আশায় খুচরা ও পাইকাররা এই সব ডিম বাজারজাত করে সাধারণ ভোক্তাদের বিরাট স্বাস্হ্যহানি করছে।

কথা হয় বেশ কয়েকজন ভোক্তার সাথে তারা বলেন, এসব হিমাগারে নষ্ট ডিমে পাইকারের আড়ৎত থেকে শুরু পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মুদির দোকানে রয়েছে। আমরা গত ১২/১৫দিন যাবৎত প্রোলটি ডিম কিনে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর সরিষার প্রকৃতি দুগন্ধ বের হচ্ছে। পরে জানতে পেরেছি অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে এসব ডিমের গুণগত মান। যা আমাদের স্বাস্হের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাড়িঁয়েছে। যারা বাজার মনিটরিং করেন তারা খুব দ্রুত বিষয়টি নজর দেওয়ার দরকার।

এ জাতীয় আরও খবর