এখন আমরা আর গৃহপালিত বিরোধীদল নই: এরশাদ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সংসদে আমরা আগে কথা বলতে পারতাম না। সরকারের সব কাজ সমর্থন দিয়ে যেতাম। মানুষ আমাদের গৃহপালিত বিরোধীদল বলতো। কিন্তু সম্মিলিত ঐক্যজোট গঠনের পর আমরা ঘুরে দাড়িয়েছি। মানুষ জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। এখন আর আমরা গৃহপালিত বিরোধীদল নই।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েরস সেন্টারে জাপা মহানগর উত্তর আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, আগামীতে জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়ার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। জাপা ছাড়া নির্বাচন হবে না। আমরা ঠিকমত কাজ করতে পারলে ক্ষমতায় যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার মনে হয় দেশটা অভিশপ্ত। সিলেটের প্লাবনে লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও সিলেটে পাহাড় ধসে মাটিচাঁপায় সেনা সদস্য ও বহু সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছে। বর্তমানে শুধু মৃত্যু আর লাশের খবর। সু-সংবাদ শোনা যাচ্ছে না কোথাও। দেশকে এ অভিশাপ হতে পরিবর্তন করা দরকার। আর এই পরিবর্তন একমাত্র জাতীয় পার্টিই করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম, রক্তাক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই নাই। জেলে নিয়েছিল আমাকে, মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে এখনো বেঁচে আছি, তোমাদের ও দেশের মানুষের দোয়ায়। আমাদের উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের সৎ সাহস আছে। আমি যখন তোমাদের মুখ দেখি তখন সকল দুঃখ ভুলে যাই।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মেজর অব. খালেদ আখতার, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আ.ন.ম শাহজাহান, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন বাবুল, আমানত হোসেন আমানত, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুইয়া, মোস্তাকুর রহমান নাঈম, ফকরুল আহসান শাহজাদা, কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল হোসেন, একেএম আসরাফুজ্জামান খান, হেলাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিরু, আব্দুস সাত্তার, মামুনুর রহমান, মোহাম্মদ আলী খান, আবুল খায়ের, আহমেদ রিয়াজ, আসমা আশরাফ, মন্টি চৌধুরী, জাকির হোসেন মৃধা, সিরাজুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।