ভারতীয় ছাত্রকে মালয়েশিয়ায় পিটিয়ে হত্যা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে পিটিয়ে হত্যা করল পাঁচজন তরুণ। ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়াতে।
টি নবীন নামের ওই ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় পিনানজ জর্জ টাউন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ নবীনের স্কুলের পাঁচ প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। ১ জুন একইভাবে অত্যাচার করে ২১ বছরের এক যুবককে মালয়েশিয়াতে খুন করা হয়।
১০ জুনটি নবীন এবং তাঁর বন্ধুটি প্রবীণ বার্গার কিনছিলেন। সেই সময় দুই বন্ধুকে তাঁদেরই পরিচিত দুই তরুণ বিরক্ত করতে শুরু করে। প্রবীণ তাঁর বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ওই দুই তরুণের সঙ্গে আরও তিনজন মিলে নবীনকে মারধর করতে শুরু করে। হেলমেট দিয়ে প্রথমে নবীনকে বেধড়ক মারা হয়।
প্রবীণের চোখে আঘাত লাগলেও নবীনের পেটে ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগার দরুণ অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এমনকী তাঁর পেছনে রড ঢুকিয়ে এবং তাঁর পিঠ পুড়িয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নবীনের। নবীনের মৃত্যুর ঘটনাকে খুন হিসাবেই ধরা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ছোটবেলা থেকেই নবীনের স্বপ্ন ছিল এ আর রহমানের মতন সঙ্গীতকার হওয়ার। সেই জন্য গানও শিখছিলেন নবীন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তাঁর অপূর্ণই রয়ে গেল। নবীনের মা ডি শান্তি জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তিনবছর আগে নবীনকে স্কুলে হেনস্থা করেছিল। কিন্তু তাঁর ছেলে নরম প্রকৃতির হওয়ায় এবং অতিরিক্ত হেনস্থা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেই সময় চুপ থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে নবীনের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ আর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নবীনের বিষয়টি। নবীন হাসপাতালে থাকাকালীন এ আর রহমান টুইট করে তাঁর দ্রুত সুস্থ কামনা করেছিলেন।
গত দুই সপ্তাহে মালয়েশিয়াতে হেনস্থার জেরে মৃত্যু হল দু’জনের। পরপর এই মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। ১ জুন ২১ বছরের এক যুবককে ইস্ত্রি দিয়ে পুড়িয়ে তাঁর ওপর নির্দয়ভাবে অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এস সুব্রহ্মণ্যম জানান, এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এ ধরনের সংস্কৃতি বিষের মত ছড়িয়ে পড়ছে। তা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।
সূত্র: ইন্টারনেট