লক্ষ্মীপুরে মোনাজাতকে কেন্দ্র করে হামলা, ১ মুসল্লী নিহত
---
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে নামাজ শেষে নিয়মানুযায়ী ইমামের মোনাজাত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইমাম সমর্থক প্রতিপক্ষের হামলায় এক মুসল্লী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই মুসল্লীর নাম নুর হোসেন। এ সময় নুর হোসেনের বড় ভাই জাকির হোসেনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। শনিবার (১০ জুন) সকালে মসজিদ থেকে ইমাম মো. আল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার তারাবি’র নামাজের পর সদর উপজেলার মধ্য কালিরচর গ্রামের মনছুর আহমদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরহোসেন ওই গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর ছেলে।
হামলার ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় নুরহোসেনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কালিরচর গ্রামের মনছুর আহমদ জামে মসজিদের ইমাম মো. আল আমিন নামাজের পর অন্যান্য ইমামদের মতো মোনাজাত ধরেন না। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইমামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ইমাম উত্তেজিত হয়ে তাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় ইমাম ও মসজিদ কমিটির দুইপক্ষই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এর জের ধরে রাতে তারাবি’র নামাজের পর ইমামের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় দেলোয়ারসহ কয়েকজন মাথায় লাল ফিতা বেঁধে নুরহোসেন ও জাকির হোসেন নামের দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুত্বর আহত নুরহোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির পর শনিবার সকালে তিনি মারা যান। অভিযুক্ত ইমাম মো. আল আমিন চাঁদপুর জেলার বিশ্বপুর গ্রামের মো. দুলালের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে নিহত নুরহোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, মেয়ে মিতু আক্তার ও ছেলে রুবেল এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত নুর হোসেনের মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে আসলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।