‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়া ব্রিটেন নির্বাচনের ফলাফলে গতি পাবে
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবারের ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পার্লামেন্টে বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন ধারণা করা হচ্ছে। আর তেরেসা মে জয়ী হলে ব্রেক্সিট আলোচনা প্রক্রিয়ায় তার অবস্থান আরও মজবুত হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
সর্বশেষ একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে যে, ম্যানচেস্টার এবং লন্ডনে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে ৫ জনে একজন ভোটারই এখনও সিদ্ধান্তহীন রয়ে গেছে। তবে কনজারভেটিভ দলের জনসমর্থন আগে সময়ে সময়ে কমলেও শেষদিকে এসে তা বেড়েছে।
ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটেনবাসী গণভোট দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের এই নির্বাচনকে গোটা ইউরোপের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার প্রক্রিয়া এবং এর বাইরে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সম্পর্ক, সীমান্ত ও শুল্ক ব্যবস্থাপনার ধরণ কোন পথে যাবে, তা এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে।
নির্বাচন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছিলেন, ব্রেক্সিট সামাল দেওয়ার মতো একটি নিশ্চিত, স্থিতিশীল ও শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজের অবস্থানকে আরও সুসংহত করতেই আগাম নির্বাচন দিয়েছেন তিনি।
ব্রেক্সিট আলোচনা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ইউরোপীয় ইউনিয়নেও অনেকে চাইছেন তেরেসা মে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুন। ইইউ আইনপ্রণেতা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমাদের ব্রেক্সিট আলোচনা চালানোর জন্য একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। ”
গার্ডিয়ান পত্রিকার মতামত কলামে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান ব্রেক্সিট আলোচক বলেছেন, “যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বেশি বেশি টোরি (কনজারভেটিভ) এমপি’র জয় মানেই কি একটি ভাল ব্রেক্সিট চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া? ব্রাসেলসে আলোচনা টেবিলে যারা বসে আছেন তাদের জন্য এর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। ”
তেরেসা মে এর আগে কয়েকটি বিষয় নিয়ে নেতৃত্বে দুর্বলতার পরিচয় দিয়ে জনসমর্থন হারিয়েছিলেন। ব্রেক্সিটের আগে মে যে যুক্তরাজ্যের ইইউ য়ে থাকার পক্ষে ছিলেন বিরোধীরা তখন সেটি নিয়েও কথা তুলে তার অবস্থানকে দুর্বল করার চেষ্টা নিয়েছিল। এরপর নির্বাচনি প্রচারণার মধ্যে দু’দফা সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে আলোচনায় চলে আসে সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে পুলিশের বরাদ্দ কমানো নিয়েও সমালোচনা শিকার হন মে। কমে আসতে থাকে তার জনসমর্থন। কিন্তু ভোটের আগে ফের ব্রেক্সিটে মনোযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মে। ভোটের আগমুহূর্ত পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তা ইস্যু থেকে মে চেষ্টা চালান ব্রেক্সিটকে পুনরায় সামনে নিয়ে আসার। আর এখন ভোটের সম্ভাব্য ফল কি হতে পারে সেটিই দেখার বিষয়।