রবিবার, ১৪ই মে, ২০১৭ ইং ৩১শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সাফাত ও সাদমানকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১২, ২০১৭

ডেস্ক রিপোর্র্ট : বনানীতে ধর্ষণ মামলার দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পুলিশ। এর প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর সিলেট মহানগর পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেবান আল মুসা।
(বাঁ থেকে) সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফসিলেট মহানগর পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে ঢাকার গোয়েন্দা দল সাফাত ও তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ও সিলেট জেলা মহানগর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মহানগরীর জালালাবাদ থানাধীন পাঠানপুলা এলাকার রশীদ ভিলার দ্বিতীয় তলা থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ অভিযানে জেবান আল মুসা ছাড়াও ছিলেন মহানগরীর মোগলা বাজার থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতিময় সরকার।
পুলিশ জানায়, রশীদ ভিলার মালিক একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। বাড়িটিতে কেউ থাকে না। এটি দেখভাল করে একজন কেয়ারটেকার। অভিযান চলাকালে তাকে পাওয়া গেলেও আটক করা হয়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে বাড়ির মালিকের নাম এখনই প্রকাশ করা হয়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের প্রেস ব্রিফিংপুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, রশীদ ভিলা হলো সাফাতের চাচার বাড়ি। তবে এটি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সিলেট মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম)। ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা সিলেটেই আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ সজাগ আছে।
এদিকে নাঈম আশরাফসহ ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা যেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যেতে না পারে সেজন্য সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই শিক্ষার্থীদের জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। ওইদিনই তারা ওই ছাত্রীদের বনানীর কে-বøকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়Ñ সেখানে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মামলার সাফাত ও নাঈম।
পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে হত্যার পর লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দুই তরুণী নিকেতনে স্ব স্ব বাসায় ফিরে আসে। প্রথমে ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানালেও পরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় বনানী থানা পুলিশ প্রথমে তাদের মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় বলেও অভিযোগ আছে।