শাকিব খানের জিডি তদন্তের নির্দেশ
বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক শাকিব খান নিরাপত্তা চেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই হাবিবুল্লাহ খানের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত শুভ ঘোষ এ আদেশ দিয়ে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত শুক্রবার বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের রাতে হামলায় আহত হন শাকিব থান। ওই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তোলেন তিনি। জিডিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন শাকিব। আরো অভিযোগ করা হয় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক ও খল অভিনেতা জিয়ার বিরুদ্ধে।
সাধারণ ডায়েরিতে শাকিব খান উল্লেখ করেন, ‘আমি বিএফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছি। ৫ মে এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। ৬ মে রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে বিভিন্ন লোক মারফত আমার কাছে খবর আসে যে, নির্বাচনের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। আপিল বিভাগের লোকজন শিল্পী সমিতি অফিসের ভেতরে ভোট গণনা কেন্দ্রে অবস্থান করছে ও বহিরাগত অনেক লোক সমিতির অফিসের বাইরে অবস্থান করছে। সমিতির সভাপতি হিসেবে বিষয়টি দেখা আমার এখতিয়ারভুক্ত, বিধায় আমি এফডিসিতে আসি। এ সময় আমি দেখি যে, শিল্পী সমিতির অফিসে আপিল বিভাগের লোকজন ও বাইরে বহিরাগত লাল গেঞ্জি পরিহিত পিস্তল হাতে একজন সন্ত্রাসীসহ চাপাতি হাতে কয়েকজন লোক অবস্থান করছে। এসব বহিরাগত লোক এফডিসির ভেতরে এত রাতে কীভাবে এল এবং কেন অস্ত্র হাতে অবস্থান করছে জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত নৃত্যপরিচালক সাঈফ খান কালু, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, অভিনেতা জিয়া, ফাইটার শামিমসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত লোক আমার ওপর হামলা করতে আসে। আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমার এক ভক্ত আমাকে রক্ষা করতে গেলে আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে তার হাত কেটে যায়। আমি নিজের প্রাণ রক্ষার্থে পুলিশ, আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ও কিছু কলাকুশলীর সহযোগিতায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। তখন সন্ত্রাসীরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধর ধর বলে ধাওয়া করে।’
শাকিব খান আরো উল্লেখ করেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন মারফত আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে যে, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে ও রাস্তাঘাটে একা পেলে মেরে ফেলবে। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ আরো কয়েকজন জড়িত বলে আমার বিশ্বাস।’