রবিবার, ১৪ই মে, ২০১৭ ইং ৩১শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বনানীর ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ পরীক্ষার অনুমতি

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১১, ২০১৭
news-image

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা, তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালত অনুমতি দিয়েছেন।

এর আগে, বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন বনানী থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সময় ধর্ষণের আলামত হিসেবে এক ভিকটিমের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করা হয়। তাতে কোনো ধরনের পুরুষের বীর্য আছে কিনা তা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালত অনুমতি দিলে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে অপরাপর বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারা গত শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

আব্দুল মতিন জাগো নিউজকে আরও বলেন, ৪০ দিন আগে ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী বিপর্যস্ত ছিলেন। মামলা করলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কারণে মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন তারা।

মামলার আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিব, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী সাকিফ।

তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ছাত্রীর বন্ধু। অস্ত্রের মুখে তারা ওই দুই ছাত্রীকে জিম্মি করে হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে মারধর এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সেটা তারা ভিডিও করে। আসামিদের অপর তিনজন ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণ করে বলে মামলায় বলা হয়েছে।

মামলার পর ওই দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।