ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতির টর্পেডো ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল ইরান
অনলাইন ডেস্ক : পারস্য উপসাগরে অত্যাধুনিক টর্পেডো মিসাইলের পরীক্ষা চালালো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র ইরান। আর এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা অধিদফতর পেন্টাগন।
তবে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, ইরানের জল সীমার মধ্যেই ওই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এমনকি, আন্তর্জাতিক কোনও প্রটোকলও তারা লঙ্ঘন করেনি। কিন্তু ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতির এই টর্পেডো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যা কিনা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সবসময়ই নানাভাবে শত্রুর হুমকির সম্মুখীন। এই অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি ইরানের জন্য প্রধান সমস্যা ও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারপরও মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। সম্প্রতি আমেরিকা ও ব্রিটেনের কর্মকর্তারা ঘন ঘন মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে ইরানের বিরুদ্ধে এসব বক্তব্য দিয়েছেন। একের পর এক এইসব হুমকি ও ষড়যন্ত্রের কারণে ইরানও বাধ্য হয়ে তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উন্নিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে শত্রুর যে কোনও আগ্রাসন প্রতিহত করা এবং সমগ্র এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইন কানুন মেনে চলে ইরান পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। ইরানের বিমান ও সমুদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতোটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, তারা শত্রুর যে কোনও হামলার জবাব দিতে সারাক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে। এবং ওই অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য এখন ইরানের অনুকূলে। শুধু তাই নয়, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রে ইরান এমন এক শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে যে, পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালী ও ওমান সাগরে আমেরিকার অবাধ চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়তে পারে। তবে পারস্য উপসাগরে ইরানের সামরিক উপস্থিতি অত্যন্ত শক্তিশালী হলেও এই অঞ্চলের কোনও দেশের জন্যই তেহরান কখনই হুমকি সৃষ্টি করেনি। সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর