মুক্তিপনের টাকা পেয়েও ফিরিয়ে দেয়নি ৫ম শ্রেনির ছাত্র হ্নদয়কে
---
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ‘আমার কইলজ্যা ছিড়া নিয়া যাও,তবুও আমার পোলারে ফেরত এনে দাও..” এভাবেই আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলাস্থ সিনেমা হল সংলগ্ন সোহেল মার্কেটের নীচে উপস্থিত জনতার কাছে আহাজারি করছিলেন ছেলে হারানো এক অসহায় মা নাজমা বেগম।কথা বলে জানা গেছে,গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে কতিপয় ছদ্মবেশী অপহরনকারী প্রবাসী শাহাজাহান মিয়া ও নাজমা বেগমের একমাত্র আদরের পুত্র সন্তান আশিক হাসান হ্নদয়কে একটি মাইক্রোতে করে তুলে নিয়ে যায়।তারপর থেকে সে আর ঘড়ে ফিরেনি।১২ বছর বয়সী হ্নদয় বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পরিচালিত বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র ছিলো।
জানা গেছে অপহরণকারীরা অপহরনের একদিনের মাথায় প্রথমে (০১৭৯২০৩৫৭৯৯) মোবাইল থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে ছেলে ফেরত দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়।পরে,দর কষাকষি করে ৫ লাখ শেষমেষ ১ লাখে মুক্তিপনের শর্তে ফোনে চুক্তিনামা হয়।কথা বলে জানা গেছে,অপহরনকারীদেও শর্তনুযায়ী দরিদ্র নাজমা বেগম থানা পুলিশকে না জানিয়ে সদও উপজেলার পার্শ্ববর্তী ছলিমাবাদ কবরস্থানে একটি কবরের মাটির নীচে পরের দিন শুক্রবার নগদ ১ লক্ষ টাকা রেখে আসে।
তারপরও কথা রাখেনি অপহরনকারীরা।সুযোগমতো মুক্তিপনের টাকা নিলেও,ঘটনা ঘটার ৬ দিন পরও নি¤œবিত্ত পরিবারটির একমাত্র সন্তানকে ফিরিয়ে দেয়নি।অথবা,আর কোন যোগাযোগ করেনি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আজ এক রাজনৈতিক সফরে এলাকায় এলে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম (অব.) খবর পেয়ে অপহ্নত হ্নদয়ের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। তিনি অপহরনকারীদের বিষয়টি নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেন।তিনি তাৎক্ষণিক বাঞ্ছারামপুর মডেল থানাসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অপহরনকারীদের কাছ থেকে ছেলেটিকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চালাবার নির্দেশ দেন।
এদিকে থানা সূত্রে জানা গেছে,আজ অব্ধি এ বিষয়ে সন্তান অপহরনের কোন মামলা দায়ের করেনি।এদিকে.সদর উপজেলায় শিশু সন্তান হ্নদয়ের মা পাগলপ্রায় এবং বাবা শাহাজাহান মিয়া মালয়েশিয়ায় থেকে সন্তানের জন্য চাকুরী ছেড়ে দিয়ে চলে আসবেন বলে জানা গেছে।