আজান শুনতে দারুণ লাগে: সোনুর জবাবে ভিডিওতে প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন ডেস্ক : মুসলিম নন। তাহলে আজানের শব্দে প্রতিদিন ঘুম ভাঙে কেন? প্রশ্ন তুলেছিলেন সোনু নিগম। আর তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরেই জমেছে জোর বিতর্ক। এবার প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার এক ভিডিও সামনে এনেই সোনুকে জবাব দিলেন নেটিজেনরা। সোনুর ক্ষোভ অবশ্য আজানের বিপক্ষে ছিল না। ছিল ধর্মের নামে লাউডস্পিকার বাজানোর বিরুদ্ধে। সে কারণেই সোনু নিজে গুরুদ্বার বা মন্দিরের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন।
যদিও তর্ক-বিতর্কে সে অভিমুখে অনেকটাই ঘুরে গিয়েছে। এবং আজানের বিরুদ্ধে সোনু-এরকম মতই ক্রমাগত প্রচার হয়ে চলেছে। তার জবাবেই প্রিয়াঙ্কার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নেটিজেনরা। সেখানে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভোপালে তিনি অপেক্ষা করেন আজান শোনার জন্য। সন্ধের সময় বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসে। সূর্যাস্তের মুহূর্তে সেই সময়টাই তাঁর সবথেকে প্রিয় বলে জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেই ভিডিও দাখিল করেই সোনুকে জবাব দিলেন অনেকে।
অপর এক নেটিজেন পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। সোনু টুইটে জানিয়েছিলেন, হজরত যখন আজানের প্রচলন করেন তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তাহলে লাউডস্পিকারের ব্যবহার কেন? পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, পুরাণের সময়ও তো বিদ্যুৎ ছিল না। তবে হিন্দুদের নানা উৎসবেই বা এর ব্যবহার কেন? রামায়ণে তো বাজির উল্লেখ ছিল না। তাহলে এখন বাজির ব্যবহারই বা হয় কেন? তাতেও তো শব্দ ও বায়ুদূষণ হয়। ওই নেটিজেনের দাবি, এরপর থেকে রাতভর অনুষ্ঠানের অফার এলে সোনু যেন তা প্রত্যাখান করেন। ধর্মের নামে লাউডস্পিকার বাজানোর যে প্রতিবাদ, তা যেন প্রতিষ্ঠা করেন সোনু।
এদিকে একই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু। তাঁর দাবি, রামায়ণ বা কীর্তনের ক্ষেত্রেও তো লাউডস্পিকারে শোনানো হয়। এবং তা মন্দির থেকে নয় কোনও বাড়ি বা শামিয়ানা খাঁটিয়েই করা যেতে পারে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কি তাহলে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে? হোলি বা বিয়েবাড়িতেও রাত গড়িয়ে মাইক বাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।