রাজন হত্যা : কামরুলসহ ৪ জনের ফাঁসি বহাল
নিউজ ডেস্ক : সিলেটের আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ৪ জনের ফাঁসি বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার এ মামলায় আপীল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামি নুর মিয়া ছাড়া নিম্ন আদালতের দেয়া সব আসামির সাজা বহাল রেখেছেন। হাইকোর্ট আসামি নুর মিয়ার যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর আগে ১২ মার্চ রোববার ১৯তম দিনে শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন ওই হাইকোর্ট বেঞ্চ। ৩০ জানুয়ারি আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা। আসামিপক্ষে আছেন আইনজীবী নূর আহমেদ।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু রাজনকে। লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করে। ফেইসবুকে প্রচারের উদ্দেশ্যে ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে নির্যাতনকারীরা।
এ মামলার দ্রুত বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর প্রধান আসামি কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, তাজ উদ্দিন বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান আসামি নুর মিয়া। সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় কামরুলের তিন সহোদর মুহিত আলম, শামীম ও আলী হায়দারকে। এ চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আসামি দুলালকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায়ে আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়। কামরুলের সহযোগী নূর মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে (পলাতক) সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।