শুক্রবার, ২১শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৮ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নবীনগর আ’লীগ সভাপতির ভাই গ্রেফতার

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১১, ২০১৭
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা ও প্রধান শিক্ষকের উপর  ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার মিথ্যা অভিযোগ এনে নির্যাতন মামলার অন্যতম আসামী নবীগর পশ্চিম ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এর ভাই আবু কাউছার(৩৬)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার(১০/০৪)রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ইতিপূর্বে এ মামলার আরেক আসামী মৃত আবদুল খালেক মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউছারের বিরুদ্ধে সংস্ত্রাসী কর্মকান্ড, দাংগা, হাংগামা লুটতরাজ, খুন ও ধর্ষনসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের ১১টি মামলা ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে ০৬ টি মামলা রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে গ্রামের একদল উশৃংখল মানুষ উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের বিরোধের জের ধরে প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী ভ’ইয়া বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারী/২০১৫ ইসলাম ধর্ম,মহানবী ও পবিত্র কোরআনকে নিয়ে কটাক্ষ (!) করে বক্তব্য দেওয়ার কথিত কল্পিত অভিযোগে স্কুলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এবং প্রধান শিক্ষককে চরম লাঞ্চিত করে অবরুদ্ধ করে রাখে। ১ ফেব্রুয়ারী এক ছাত্রকে দিয়ে ধর্মীয় অবমাননায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করে। যা মামলার বাদী পরবর্র্তীতে অস্বীকার করে মামলা করার বিষয়টি জানেনা বলে সকলকে জানিয়ে ক্ষমা চায়। এ ঘটনায় সমগ্র উপজেলার সকল শ্রেণির শিক্ষক সমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি/১৫ পুলিশ আসামী নিরপরাধ উল্লেখ করে ওই মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন। মহামান্য আদালত ৩ মার্চ/১৬ তাঁর বিরুদ্ধে‘ ইসলাম ধর্মের অবমাননার’ দায়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলাটি শুনানী শেষে নিস্পত্তি করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অব্যহতি প্রদান করে। ২০ মার্চ/১৫ প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা ভাংচুর লুটতরাজ ও তার উপর নির্যাতনে ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি অনেক প্রতিবন্দকতা পেরিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক দফা তদন্ত শেষে পিবিআই ওই গ্রেফতারকৃত দু’জনসহ নবীপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে এম নজরুল ইসলাম (৪৩)কে মূল আসামী করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার বাদী ওই প্রধান শিক্ষক এলপিআরে চলে যাওয়ার দু’বছর পরও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওই আ’লীগনেতার অসহযোগীতার কারনে অবসর সুবিধার আবেদন করতে পারেননি। বিধায়  বর্তমানে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছে।