মঙ্গলবার, ৪ঠা জুলাই, ২০১৭ ইং ২০শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে কামরূপ কামাক্ষার গাছ!

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১২, ২০১৭
news-image

---

ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা-ধোবাউড়ার সড়কে ভুষাগঞ্জ বাজার সংল‎গ্ন বিশাল এক গাছ। স্থানীয়রা গাছটির নামকরণ করেছেন- ‘মন পবনের গাছ’।

এ গাছটি বাংলাদেশের আর কোথাও আছে কিনা তা কেউ জনেন না। স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে গাছটির সম্পর্কে কিছু অলীক খবর পাওয়া যায়।

তাদের দাবি, তিনশ বছর আগে এ জনপদ থেকে একজন কামরূপ কামাক্ষায় গিয়েছিলেন যাদুবিদ্যা শিখতে, তার সাথেই চালান হয়ে এসেছিল এই ‘মন পবন গাছ’।

তারপর থেকেই প্রায় তিন কাঠা জমিতে (৩০ শতাংশ) শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে টিকে আছে এই বৃক্ষ। বারবার একে উৎপাটন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সবাই। গাছের কাঠ পুড়িয়ে মসজিদের জন্য ইট পোড়াবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু ইট পোড়ানো যায়নি। আশপাশের মানুষ গাছের ঝরাপাতা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়েছে, সমস্যা হয়নি; কিন্তু দূরান্তের মানুষ এ গাছের ঝরাপাতা নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষতি হয়েছে তার। মানুষ নিজেদের নানান সমস্যার সমাধানে এ বৃক্ষের কাছে মানত করে সিন্নি দিয়েছে, মোমবাতি জ্বালিয়েছে, তাদের আশা পূর্ণ হয়েছে।

বর্তমানে গাছটির নিচে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঈদগাহ। এলাকার মানুষ এখানে নিয়মিত দুই ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।

বছরের বিশেষ সময়ে (শীতে) গাছটি পত্রশূন্য হয়ে যায়। বসন্তে আবার পত্রপল্লবে সবুজ হয়ে ওঠে। এখন বসন্ত, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছটি।

লোকজন জানালেন, এখন গাছটির যতটা বিস্তার কিছুকাল আগেও এর দ্বিগুণ ছিল। গাছের নিচে নিবিড় শীতল ছায়া চৈত্রের গরমে সবাইকে ডেকে আনে গাছের নিচে। গাছে প্রচুর ফল হয়, যেগুলো প্রধানত পাখিরা উৎসব করে খায়। গাছের বিশালত্বের তুলনায় ফলগুলো নিতান্তই ক্ষুদ্র। মানুষও নাকি এর ফল খেতে পারে জানালেন এলাকার যুবক জামাল। কিন্তু খেয়ে দেখাতে পারলেন না। এখন এই ফাল্গুনে প্রচুর ফল ধরেছে গাছে।

গাছের চেহারা, ফলের চেহারা আর পাতা দেখে গাছটিকে অশত্থ প্রজাতির বৃক্ষ বলে মনে হয়। কিন্তু বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে অশত্থের চরিত্রের সামান্য মিল আছে বলে মনে হয় না। আশেপাশে তো দূরের কথা, জনপদের কোত্থাও খুঁজে পাওয়া যায়নি এ গাছের দেখা।এমনটাই জানালেন একজন গাছ বিশেষজ্ঞ।