বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্রাক-নিবন্ধন শুরু
---
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হয়েছে। আজ রোববার থেকে এ নিবন্ধন শুরু হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট ৯শ ৬৪টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে চলতি বছরের প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত রয়েছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার নির্ধারিত কোটার প্রাক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গত বছর যে ৪০ সহস্রাধিক হজ গমনেচ্ছু প্রাক নিবন্ধন করেও হজে যেতে পারেননি তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
এদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ-২) বেগম হাসিনা শিরীন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তিবদ্ধ হজ এজেন্সিগুলো আগামী তিনদিনের মধ্যে আগের প্রাক নিবন্ধনসহ ১৫০ জনের প্রাক নিবন্ধন করতে পারবেন। তাদের ডাটা এন্ট্রির পর ভাউচারের মাধ্যমে একত্রে ১৫০ জনের টাকা জমা দিয়ে প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
আগের প্রাক নিবন্ধিতসহ ১৫০ জনের সংখ্যা পূরণ না হলে ভাউচারের মাধ্যমে টাকা দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড (লিড ব্যাংক) ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ভাউচার যাচাই-বাছাই করে আগের প্রাক-নিবন্ধিত সংখ্যাসহ (যদি থাকে) ১৫০ জন পূর্ণ হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছ থেকে টাকা নেবে এবং সার্ভারে প্রাক নিবন্ধন নিশ্চিত করবে।
এর ব্যতিক্রম হলে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি ও ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে হজের সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ অনুমোদিত হয়।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় এবার তিন লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা ও প্যাকেজ-২ এর আওতায় ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা খরচ পড়বে।
এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৭ টাকা। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া, ব্যক্তিগত খরচ, খাওয়া, কুরবানিসহ আনুষঙ্গিক আরও কিছু খরচ যুক্ত হবে।
প্রথম দফায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্রাক নিবন্ধন শুরুর কথা জানিয়েছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। কিন্তু সব প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ দিন পিছিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) থেকে নিবন্ধন শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।