একুশে উপলক্ষে দুই বাংলার মেলবন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি মৈত্রীর মেলবন্ধন সংহতি-২০১৭ বুধবার যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে এসে পৌঁছায়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা পরিবেশিত হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মশাল প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে সংহতি ২০১৭ উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ মস আরেফিন সিদ্দিক। আর শেষ হবে ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ভারতের কলকতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তনী সংগঠন ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুই বাংলার মেলবন্ধন সংহতি ২০১৭ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের আহবায়ক দীপন দাস।
বুধবার সকাল ১০টায় সরকারি এমএম কলেজে ক্যাম্পাসে অবস্থিত যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুই বাংলার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ক্যাম্পাসে মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়।
বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে ক্যাম্পাসের মধু মঞ্চে বেলা ১২টায় শুরু হয় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সরদার, এমএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এআইএম শরীফ হোসেন, সংহতি ২০১৭ আহবায়ক দীপন দাস ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি পল লিয়ান গোমেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আরিফ আহমেদ ও বাংলা বিভাগের ছাত্র কামরুল ইসলাম দুর্জয়।
সংহতি ২০১৭ আহবায়ক ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তন ছাত্র দীপন দাস জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২০১৫ সাল থেকে ভারতের কলকতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের প্রাক্তনী সংগঠন ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির উদ্যোগে সংহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও দুই বাংলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে সংহতি ২০১৭ আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সংহতি ২০১৭ বহর ভারতে প্রবেশ করবে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়াস কলেজে সংহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহর পৌঁছবে। ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা সেন্ট জেভিয়াস কলেজে বাৎসরিক জ্যাভউল্লাস আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় অবস্থিত ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে মশাল নিয়ে সেন্ট জেভিয়াস কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ থেকে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি সংহতি-২০১৭ তে অংশ নিচ্ছে।