রবিবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১০ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দামে হ্রাস-বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তবে চলতি সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ও খোঁজ নিয়ে এই চিত্র উঠে এসেছে।
চলতি সপ্তাহে বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মিনিকেট চাল মানভেদে কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৫০ টাকা, আটাশ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, নাজিরশাইল ৪৫ থেকে ৪৮, পাইজাম ৪২ থেকে ৪৫, স্বর্ণা ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, পারিজা ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম সামন্য বাড়লেও কমেছে রসুনের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা হারে বেশি। এছাড়া ভারতীয় রসুন ১৯০ টাকা থেকে ২১০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কমেছে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা হারে। এছাড়া আদা মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, খোলা হলুদ ও শুকনা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, জিরা ৪৫০, দারুচিনি ৩৫০, ধনে ১২০ থেকে ১৫০, তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডালজাতীয় পণ্য। দেশি মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ এবং বিদেশী মসুরের ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

মানভেদে আটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৪ টাকা ও ময়দা ৩৪ থেকে ৪২ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬৭ থেকে ৭০ টাকা, লবণ প্যাকেট মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গুড়া দুধ কোম্পানিভেদে ৪২০ থেকে ৫৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ৩০ থেকে ৩২ ও হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ৯৫ থেকে ১০৮ টাকা। লুজ সয়াবিন ৯৫ থেকে ৯৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। লুজ পামওয়েল ৭৪ থেকে ৭৬, পামওয়েল সুপার ৭৭ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বিভিন্ন শীতকালীন দাম অপরর্তিত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩ থেকে ১৫ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি সাইজভেদে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, ওলকপি ১২ থেকে ১৫ টাকা, মুলা ১২ থেকে ১৫ টাকা, সিম জাতভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া পিসপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ও চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে লালশাক, কলমিশাক, পালংশাক, মুলাশাক ও লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে। শাকের আঁটি সাইজভেদে পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। রুই মাছ সাইজভেদে কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফার্মের কৈ মাছ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কোরাল সাইজভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বেলে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ইলিশ মাঝারি সাইজের ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মাংসের দামে পরিবর্তন আসেনি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।