স্ট্রোক থেকে বাঁচাবে সুইয়ের চমক!
লাইফস্টাইল ডেস্ক :স্ট্রোক অর্থ হলো প্রকট স্নায়ু রোগ। মস্তিষ্কের কোষগুলোর কাজ চালিয়ে যেতে নিরবচ্ছিন্ন রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মস্তিষ্কই পুরো দেহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ পায়। কোনো কারণে এই সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে সে অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটাকে ব্রেইন স্ট্রোক বলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের কারণে শরীরের কোনও একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই অংশ শরীরের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে চালিত করে তা অবশ হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের ডান অংশ শরীরের বাম অংশকে পরিচালিত করে, আর বাম অংশ শরীরের ডান অংশকে পরিচালিত করে। কাজেই স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কোনো একটি অংশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের বিপরীত অংশ অবশ হয়ে যায়।
এছাড়া স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের সময়মতো হাসপাতালে না নেয়া হলে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
তবে এমন রোগী যদি বাড়িতেই থাকে সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি মনে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। আর এটা যদি ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। ওই পদ্ধতি চীনের আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়।
চীনের অধ্যাপকদের মতে, এ পদ্ধতি অনুসরণ করে বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। শুধু তাই নয়, প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগে দেখা গেছে, রোগী হয় প্রাণে বেঁচেছেন, না হয় চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন।
তাই ঘরে বা আপনার সামনে কেউ স্ট্রোক করলে কীভাবে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীকে বাঁচাবেন তা নিম্নে আলোচনা করা হলো :
রোগী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বা হতে পারেন এমন মনে হলে তৎক্ষণিক ইনজেকশনের সুচ বা সাধারণ সেলাই করা সু্ই নিন। তখনি সু্ইয়ের সামনের দিকটা আগুনে পুড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করুণ।
এরপর সু্ইটি হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে সামান্য ফুটিয় দিন, যেন সেখানে রক্তপাত হয়। এর জন্য আলাদা করে কোনো ডাক্তারি জ্ঞান থাকা আবশ্যক নয়। এর পর মিনিট খানেক অপেক্ষা করে দেখুন রোগী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন কী না।
যদি এরপরেও দেখেন তার মুখ বেঁকে যাচ্ছে তাহলে তার দুই কানে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এমনভাবে করুন যাতে কান লাল হয়ে যায়। এর অর্থ, কানে রক্ত চলাচল করছে।
এবার কানের নরম অংশে সু্ই দিয়ে সামান্য ক্ষত করুন যাতে দুই কান থেকে দু’এক ফোঁটা রক্তক্ষরণ হয়। এর ফলে রোগী তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। একটু স্বাভাবিক হলেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।