সোমবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১১ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হতে পারে কয়েকটি শান্তিরক্ষা মিশন

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রমে বন্ধ এবং কাটছাঁট করার এক সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে।

কূটনীতিকরা জানান, ট্রাম্পের কাছ থেকে জাতিসংঘে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরই জাতিসংঘের ‘সেকেলে’ ব্যবস্থার সংস্কারে সম্ভব সবকিছু করার ঘোষণা দেন তিনি। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, ওয়াশিংটন জাতিসংঘে তহবিল জোগানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে।

দায়িত্ব নেয়ার পর চলতি সপ্তাহে হ্যালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি শান্তিরক্ষা বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন বলে তিনজন কূটনীতিক জানিয়েছেন।

হ্যালে জাতিসংঘের ১৬টি মিশনের প্রত্যেকটি নিয়ে পৃথকভাবে পর্যালোচনা করছেন এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বলে কূটনীতিকরা জানান। নিরাপত্তা পরিষদের একজন সিনিয়র কূটনীতিক এএফপিকে জানান, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন হ্যালে। আগামী কয়েক সপ্তাহে তিনি এ বিষয়ে অন্যান্যের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানা গেছে।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি সামান্য হলেও সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে থাকে দেশটি। চলতি বছর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯০ কোটি ডলার, যার ২৯ ভাগই দেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। গত মাসে সিনেটের শুনানিতে হ্যালে স্পষ্ট করেই বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলের অংশ ২৫ ভাগের নিচে রাখা তার লক্ষ্য। অন্য দেশগুলোর কাঁধেও বোঝা নিতে হবে।

কোন কোন মিশন বন্ধ হয়ে যাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে শিগগিরই হাইতি ও লাইবেরিয়া মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হ্যালে বলেছেন, কোনো সুস্পষ্ট বাহির কৌশল ছাড়া (এক্সিট স্ট্র্যাটেজি) শান্তিরক্ষী মোতায়েনের মানে হয় না। শান্তিরক্ষার প্রয়োজনে যেতে হবে, আবার মিশন শেষে চলে আসতে হবে।

তবে আফ্রিকার স্থিতিশীলতার জন্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৬টি শান্তিরক্ষা মিশনের ৯টিই এই মহাদেশে। যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে হাত গুটিয়ে নিলে অর্থায়নে এগিয়ে আসতে পারে চীন। বেইজিং আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে চীন মোট খরচের ১০.৩ ভাগ বহন করে। এরপর রয়েছে জাপান (৯.৭), জার্মানি (৬.৪), ফ্রান্স (৬.৩) এবং ব্রিটেন (৫.৮)। সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী কংগোতে। ২২ হাজার সদস্যের এই বহর পুষতে বছরে খরচ হয় ১২০ কোটি ডলার।